নাবালিকাকে খুনের পর গণধর্ষণ

ভারতের বলাগড়ের জিরাটের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী অন্বেষা মন্ডলকে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করে গণধর্ষণ, খুনের ঘটনায় রায় ঘোষণা করল চু্ঁচুড়া আদালত। ২০১৪ সালের সাড়া ফেলে দেওয়া এই ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল তিনজন।

গৌরব মন্ডল ওরফে শানু, কৌশিক মালিক ও স্বরূপ মজুমদার। এ তিনজনকেই গ্রেফতার করে বলাগড় থানার পুলিশ।

২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর গৃহশিক্ষিকার কাছে পরে সাইকেল নিয়ে ফেরার পথে অপহরণ হয় ছাত্রী। তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ছাত্রীর বাবা চিন্ময় মন্ডলের কাছে ফোন আসে। পুলিশে অভিযোগ করে ছাত্রীর পরিবার।

১৪ তারিখ ইট ভাঁটার পিছনে গঙ্গার পারে মাটি খুঁড়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ছাত্রী চেঁচামেচি করায় তাকে গলা টিপে খুন করে অভিযুক্তরা। মৃত্যুর পর গণধর্ষণ করে। পরে বস্তাবন্দী করে গঙ্গার চরে পুঁতে দেয়।

পাঁচ বছর পর সেই ঘটনার রায় দান হল সোমবার। চুঁচু্ড়া আদালতের এ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সেশন জাজ (সেকেন্ড কোর্ট) মানষ রঞ্জন সান্যাল গৌরব মন্ডল ও কৌশিক মালিককে দোষী সাব্যস্ত করেন, স্বরূপ মজুমদারের বিচার জুভেনাইল আদালতে বিচারাধীন।

গৌরব ও কৌশিককে ফাঁসির সাজা শোনানো হলো।

এসএইচ-২৭/২৭/২০ (অনলাইন ডেস্ক)