নিজের স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের ইসলামপুরে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয় স্থানীয়রা। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না চলে যায়, সেই কারণে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থানার সূজালী পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা আকবর আলম। দীর্ঘদিন ধরেই স্ত্রী নুরজা খাতুনের সঙ্গে ওই বাড়িতেই থাকত ওই যুবক। এক মাস আগেই ওই দম্পতির একটি কন্যা সন্তান হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে দম্পতির মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। দু’জনের চিৎকার শুনতে পান প্রতিবেশীরাও। এরপর সকাল হতেই এলাকারই এক বাসিন্দা স্থানীয়দের বিষয়টি জানান। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা চড়াও হন আকবরের বাড়িতে। জানতে চান নুরজা ও সন্তান কোথায় রয়েছে। দীর্ঘক্ষণ পর প্রকাশ্যে আসে আসল ঘটনা। বাড়ির পাশের জমি খুঁড়তেই উদ্ধার হয় নুরজা ও তার ১ মাসের সন্তানের দেহ। এরপরই অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় স্থানীয়রা। সুযোগ বুঝে বাড়ি থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্ত।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তের খোঁজে শুরু হয়েছে তদন্ত।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মৃতদেহ উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা পুলিশ মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।
সূত্রের খবর, বুধবার রাতে অশান্তির পরই শ্বাসরোধ করে স্ত্রী ও সন্তানকে খুন করে আকবর। পরে প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ দুটি বাড়ির পাশের জমিতে পুঁতে দেয়। কিন্তু কী কারণে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড? সম্পর্কে অবনতি নাকি কন্যা সন্তান হওয়ায় এই পরিণতি, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এসএইচ-১৮/৩০/২০ (অনলাইন ডেস্ক)