মহিলা কলেজে ঢুকে এ কি অসভ্যতা?

অনুষ্ঠান চলাকালীন কলেজে ঢুকে অসভ্য আচরণ পড়ুয়াদের। ছাত্রীদের সামনে বহিরাগতরা হস্তমৈথুন করে বলেও অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত ভারতের দিল্লির গার্গী কলেজ। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলেই দাবি অধ্যক্ষের। কাউকে গ্রেপ্তার করা না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পড়ুয়ারা।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি দিল্লির গার্গী কলেজে অনুষ্ঠান চলছিল। ছাত্রীদের দাবি, সেই সময় কলেজের সামনে দিয়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে মিছিলকারীরা যাচ্ছিলেন। ছাত্রীরা বলেন, “ওই মিছিলে পা মেলানো বেশ কয়েকজন মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি কলেজে ঢুকে পড়ে। কলেজের ভিতরে আমাদের হেনস্তা করা হয়। তারা আমাদের সামনেই হস্তমৈথুন করে।

শৌচালয়েও আটকে দেওয়া হয় বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে। সেখানেও তাদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করা হয়।” আচমকা ‘বহিরাগত’দের হামলায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ছাত্রীরা। তড়িঘড়ি কলেজ ছেড়ে বেরিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন কেউ কেউ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন ছাত্রীরা। কলেজ কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি জানান অনেকেই।

যদিও পড়ুয়াদের অভিযোগ, প্রথমে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁদের কথায় কান দেয়নি। ভয় লাগলে অনুষ্ঠানে অংশ না নিয়ে বাড়ি চলে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ পড়ুয়াদের। কেন নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করা হল না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।

যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষ অভিযোগে আমল না দেওয়ার দাবি অস্বীকার করেছে। থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয় জানান অধ্যক্ষ প্রমীলা কুমার। তিনি বলেন, “গার্গী কলেজের অনুষ্ঠান চলাকালীন অন্যান্য কলেজের পড়ুয়াদের জন্য দরজা খোলা ছিল ঠিকই। তবে যাতে কোনও ছাত্রীকে কেউ বিরক্ত করতে না পারে তাই কড়া পুলিশি প্রহরার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও কারা কলেজের ভিতরে ঢুকে অভব্য আচরণ করল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।কোনও ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি কলেজ পড়ুয়াদের।

এসএইচ-১৯/১০/২০ (অনলাইন ডেস্ক)