ভারতে এখনো চলছে ২৫০ বছর আগের নরবলি প্রথা

কেরালার মেভেলিক্কারার ছেত্তিকুলাঙ্গারা মন্দিরে যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এই প্রথা। ওই মন্দিরে প্রতি বছরের মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত কুম্বাভারানি উৎসবের অংশ হিসেবেই দীর্ঘ আড়াই শতাব্দী ধরে চালু রয়েছে কুসংস্কারাচ্ছন্ন এই প্রথা। সমাচারনামা, ইউথকিআওয়াজ,উইকিপিডিয়া

২০১৬ সালে দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যটিতে নরবলি দেয়ার এই বিভৎস প্রথাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেরালার ‘স্টেট কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ডস’। এ নিয়ে মামলা গড়ায় উচ্চ আদালতেও। সেই মামলায় কেরালা হাইকোর্টও গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এই প্রথাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেও এই প্রথায় বিশ্বাসীদের সমর্থনে এখনো তা চালু রয়েছে। গত ১১ মার্চ মন্দিরটিতে আরাধ্য বিগ্রহ ভদ্রকালীর সন্তুষ্টির লক্ষে পালিত হয়েছে চুরাল মুরিয়াল।

এই রীতি অনুযায়ী ১০ বছরের কম বয়সি ছেলে শিশুদের বলি দেয়া হয় মন্দিরের ভগবানের কাছে। সুচে সোনার সুতো ঢুকিয়ে তা দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করা হয় শিশুটির দেহ। ভক্তদের বিশ্বাস, এই শিশুদের রক্তেই তুষ্ট হন দেবতা। যে পরিবার এই প্রথা মেনে পুজো দেয় তাদের ওপর বর্ষণ করেন আশীর্বাদ।

তবে এখানেও রয়েছে এক শুভঙ্করের ফাঁকি। এই পুজোর আয়োজন করে থাকেন সাধারণত ধনী পরিবারগুলি। কিন্তু এই রীতির জন্য নিজেদের সন্তানের পরিবর্তে ৫০ হাজার থেকে এক লক্ষ রুপির বিনিময়ে কিনে নেন দরিদ্র পরিবারের কোনও শিশুকে।

এসএইচ-০৯/১৬/২০ (অনলাইন ডেস্ক)