ফের খোঁজ মিলল বিলুপ্ত বন্য গায়ক কুকুরের

১৯৭০ সালে হারিয়ে যাওয়া বন্য গায়ক কুকুরের সন্ধান ফের পাওয়া গেল পাপুয়ায়। নিউ গিনির এই গায়ক কুকুর প্রজাতির বিশেষত্ব এদের গানের ক্ষমতার জন্য। কুকুরের স্বাভাবিক ডাকের সঙ্গে নিজস্ব সুর মিলিয়ে এরা এমন ধরনের সুরেলা আওয়াজ করতে পারে, যা শুনলে মনে হয় কুকুরটি গান গাইছে।

১৮৯৭ সালে পাপুয়া নিউ গিনিতে ২১০০ মিটার উচ্চায় এই প্রজাতির প্রথম দেখা মিলেছিল। কিন্তু ১৯৭০ সালের পর আর খোলা পরিবেশে এদের দেখা যায়নি। বর্তমানে মাত্র ২০০টি এ ধরনের কুকুর থাকলেও সেগুলি সবই হয় চিড়িয়াখানা নয়ত বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ কেন্দ্রের বাসিন্দা।

তারপর আবার ২০১৬ সালে এ ধরনের ১৫টি বন্য কুকুরের খোঁজ পাপুয়ায় পেয়েছিলেন একদল বিজ্ঞানী। কিন্তু তখনই তারা পুরোপুরি নিশ্চিত ছিলেন না। তারপর দুই বছর ধরে সমীক্ষা এবং গবেষণা চালিয়ে প্রাণীবিজ্ঞানীরা আবার নিউ গিনির জঙ্গলে এদের খুঁজে পান।

তারপর পাপুয়ার ওই কুকুরগুলির ডিএনএ পরীক্ষা করে তারা নিশ্চিত হন, সেগুলি লুপ্ত হয়ে যাওয়া গায়ক কুকুরেরই প্রজাতি যেগুলি এককালে পাপুয়া নিউ গিনিতে পাওয়া যেত।

প্রসঙ্গত, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ নিউ গিনি দুভাগে বিভক্ত- পূর্বাংশের নাম পাপুয়া নিউ গিনি এবং পশ্চিমাংশের নাম পাপুয়া। দ্বীপটি ইন্দোনেশিয়া দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্ভুক্ত। বিজ্ঞানীদের অনুমান, স্থানীয় কুকুরদের সঙ্গে মিশে প্রজনন প্রক্রিয়ার ফলেই এই বিশেষ কুকুর প্রজাতিটি লুপ্ত হয়ে গিয়েছিল।

এসএইচ-০৯/০২/২০ (অনলাইন ডেস্ক)