পায়ের ছাপ ১ লাখ ২০ হাজার বছর পুরনো!

সম্প্রতি এক লাখ ২০ হাজার বছর আগের মানুষের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে। গবেষকেরা উত্তর সৌদি আরবের নেফুদ মরুভূমিতে ওই পায়ের ছাপের খোঁজ পান। তারা যে পায়ের ছাপ পেয়েছেন তা অপেক্ষাকৃত আধুনিক মানুষের। বুধবার ‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’ সাময়িকীতে গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়।

পায়ের ছাপগুলো যেখানে পাওয়া গেছে সে স্থানে একটি অগভীর হ্রদে মানুষের ছোট দল পানি পান করার জন্য থামত। সেখান থেকে মানুষের পায়ের ছাপ ছাড়াও ২৩৩ জীবাশ্ম উদ্ধার করেছেন গবেষকেরা। এ থেকে বোঝা যায়, এখানকার তৃণভোজী প্রাণীরা মাংসাশী প্রাণীর শিকার হয়েছিল। এসব দৃশ্য বিস্তারিতভাবে পুনর্গঠন করে দেখেছেন গবেষকেরা।

গবেষণা নিবন্ধের সহকারী লেখক রিচার্ড ক্লার্ক-উইলসন বলেন, যে মরুভূমি এখন আরব উপদ্বীপে বিস্তৃত, তা অতীতের একটি নির্দিষ্ট সময় স্থায়ী মিষ্টি জলের হ্রদ এবং নদীসহ বিস্তৃত তৃণভূমিতে রূপ নিয়েছিল।

জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল ইকোলজির গবেষক ম্যাথু স্টুয়ার্ট জানান, তিনি যখন ২০১৭ সালের গবেষণার মাঠপর্যায়ে কাজ করছিলেন, তখন ওই পায়ের ছাপের খোঁজ পান। আলাথার নামের প্রাচীন এক হ্রদে ওই ছাপ পাওয়া যায়।

পায়ের চিহ্নগুলো জীবাশ্ম প্রমাণের একটি অনন্য রূপ, যা সঠিক সময়ের তথ্য দিতে পারে। গবেষক স্টুয়ার্ট বলেন, আমরা জানি, ওই হ্রদে মানুষের পাশাপাশি প্রাণীরা আসতো। অঞ্চলটিতে কোনো পাথরের সরঞ্জাম মেলেনি।

অর্থাৎ, পশুদের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখত তারা। স্থানটিতে বর্তমান প্রজাতির উট, মহিষ বা হাতির চেয়ে বড় প্রাণীদের চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। যেসকল মানুষের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে, তারা বড় বড় স্তন্যপায়ী প্রাণী শিকার করতো। তবে তারা এক জায়গায় খুব বেশি দিন থাকতো না। তাদের দীর্ঘ যাত্রাপথের নির্দেশক হিসেবে পানির এসব গর্ত ব্যবহার করতো।

এসএইচ-১৪/১৮/২০ (অনলাইন ডেস্ক)