অশ্লীল ছবি শিক্ষিকার ফোনে, কল আসতেই অজ্ঞান ছাত্র!

হ্যাকারদের তাণ্ডবে আতঙ্কিত পশ্চিমবঙ্গের প্রর্ণশ্রীর এক সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ও তার মা-বাবা। ফোন কিনে সিম পরিবর্তন করে কম্পিউটার, ল্যাপটপ কিনেও হ্যাকারদের হাত থেকে বাঁচতে পারছেন না। হ্যাকারদের অত্যাচারে পুরো পরিবার আতঙ্কে।

ঘটনার সূত্রপাত ৩০ এপিল। আচমকাই ছেলের অনলাইন ক্লাস চলতে চলতে বন্ধ হয়ে গেলো ফোন। দোকানে নিয়ে আবারো চালু করা হলো ফোন। পরের দিন ছেলের ক্লাস করতে গেলে আবারো একইভাবে বন্ধ হয়ে গেলো ফোন। ১০-১৫ দিন এভাবে চলতে থাকে।

সেপ্টেম্বর মাসের ২৩ তারিখ পর্যন্ত ৫টা ফোন, ৬টা সিম বদলালেও হ্যাকারদের তাণ্ডব কোনোভাবে কমেনি। কেনা হলো ল্যাপটপ-কম্পিউটার, ফোনের নেট ছেড়ে ব্যবহার করতে শুরু করলেন ব্রডব্যান্ড লাইন তাতেও ছেলে ক্লাস করতে পারছে না। কাউকে করতে পারছে না ফোন, অটোমেটিক অফ হয়ে যাচ্ছে ফোন।

পর্ণশ্রী থানায় অভিযোগ করেও কিছু হলো না বলে জানিয়েছে ওই পরিবার। এরপর ওই পরিবার যোগাযোগ করলেন লালবাজার সাইবার ক্রাইমে, সেখানেও জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি বক্তব্য পরিবারের। তবে এ ঘটনায় ভীষণ লজ্জায় পড়েছে পর্ণশ্রীর ওই পরিবার।

শিক্ষক দিবসের দিন ওই ছাত্র স্কুলের সব শিক্ষক শিক্ষিকা ও নিজের বাড়ির শিক্ষককে সম্বর্ধনা দেয়। সব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ফোনে হোয়াটস্যাপের মাধ্যমে চলে যায় অশ্লীল একটি ছবি, তার সঙ্গে অশ্লীল লেখা। এই সব দেখে হতবাক পরিবার। শিক্ষকদের বকায় সে ডিপ্রেশনে চলে যাচ্ছে, করতে পারছে না স্কুলের কোনো ক্লাস।

গত পরশু হঠাৎ মিঠু বাবুর ফোনে পাকিস্তান থেকে ফোন আসতে শুরু করলো। তাও আবার ভিডিও কল, তা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ওই পরিবার। এখন গোটা পরিবার কোনো ফোন আসলেই আতঙ্কিত হয়ে উঠছে। ছেলের ও মানসিক অবস্থাও ভালো নয়। মাঝে মধ্যে কয়েকবার অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। এই অবস্থায় কীভাবে এই বিপদ থেকে বাঁচবেন ভেবে উঠতে পারছে না পর্ণশ্রীর ওই পরিবার।

এসএইচ-১৭/২৩/২০ (অনলাইন ডেস্ক)