আকাশেই তীব্র প্রসব যন্ত্রণা। আফগান নারী মা হলেন আমেরিকার বিমানবাহিনীর বিমান জার্মানির মাটি ছোঁয়ার পরপরই। এ ঘটনা শনিবারের।
আমেরিকার বিমানবাহিনী রোববার টুইট করে এ খবর জানিয়েছে। তারা জানায়, আফগান মহিলার প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়েছিল বায়ুসেনার বিমান ওড়ার পরই। বিমান তখন ২৮ হাজার ফুট উচ্চতায়।
বিমানের ভেতরে বায়ুচাপ কম থাকায় তীব্র শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল গর্ভবতী সেই নারীর। তার দম যেন বন্ধ হয়ে আসছিল। তা দেখে বিমানের উচ্চতা খুব দ্রুত কমিয়ে আনেন আমেরিকার বিমানবাহিনীর পাইলট। যাতে বিমানের ভিতরে বায়ুচাপের পরিমাণ বাড়ে।
তখনও গন্তব্য জার্মানিতে আমেরিকার বিমানবাহিনীর ঘাঁটি থেকে কিছুটা দূরেই ছিল সি-১৭ বিমানটি। দ্রুত আকাশ-পথ পেরিয়ে আমেরিকার বায়ুসেনার বিমানটি জার্মানির র্যামস্টিন এয়ারবেসে নামার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সন্তান প্রসব করেন ওই আফগান মহিলা। প্রসবে সাহায্য করেন আমেরিকার বিমানবাহিনীর জওয়ানরাই। মা ও শিশুকে পরে নিয়ে যাওয়া হয় র্যামস্টিন এয়ারবেসের কাছাকাছি একটি হাসপাতালে।
আমেরিকার বিমানবাহিনীর টুইটে জানানো হয়েছে, মা ও শিশু দু’জনেই সুস্থ। ওই মহিলার মতো আর যারা কাবুল ছেড়ে অন্যত্র পালাতে চাইছেন, তাদের কয়েক জনকে নিয়ে শুক্রবার আমেরিকার বিমানবাহিনীর এয়ার মোবিলিটি কমান্ডের সি-১৭ বিমানটি কাবুল থেকে আকাশে ওড়ে পশ্চিম এশিয়ার উদ্দেশে। সেখানেও কাবুল থেকে আসা কয়েকজনকে নামানোর কথা ছিল। তার পর সেখান থেকে জার্মানিতে আমেরিকার র্যামস্টিন এয়ারবেসে যাওয়ার জন্য আকাশে ওড়ে বিমানটি। সেই বিমানেই ছিলেন ওই শরণার্থী আফগান নারী।
বিশৃঙ্খল কাবুল বিমানবন্দরে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে আফগানিস্তানের তালেবান যোদ্ধারা। বিমানবন্দরের প্রধান ফটকের বাইরে লোকজন যাতে সুশৃঙ্খলভাবে সারিবদ্ধ হতে পারে, তা নিশ্চিত করতে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরের সীমানার বাইরে লোকজনকে জড়ো হওয়ার অনুমোদন দিচ্ছে না তালেবান।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে। রোববার (২২ আগস্ট) ভোরেও সেখানে মানুষের দীর্ঘ সারি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। বিমানবন্দরের কাছে হুড়োহুড়িতে সাত বেসামরিক আফগান নিহত হয়েছেন।
শনিবার রাতে কাবুলের চারটি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে অস্ট্রেলিয়া। এতে অস্ট্রেলীয়, আফগান ভিসাধারী, নিউজিল্যান্ডের অধিবাসী, মার্কিন ও ব্রিটিশ নাগরিকসহ ৪০০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এমন খবর দিয়েছেন।
নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা বলে এদিন কাবুল বিমানবন্দরে যেতে নাগরিকদের নিষেধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি। যদিও আফগান ছাড়তে হাজার হাজার মানুষকে বিমানবন্দরটিতে জড়ো হতে দেখা গেছে।
এসএইচ-০৭/২২/২১ (অনলাইন ডেস্ক)