‘রিকশা চুরি পেশা নয়, ফারুকের নেশা

মাত্র তের বছর বয়সে রিকশা চুরিতে নাম লেখায় মাদারীপুরের ফারুক মুন্সী। এখন বয়স আটত্রিশ। এ পঁচিশ বছরে রাজধানীতে বিশ হাজারেরও বেশি রিকশা চুরি করেছে সে। তৈরি করেছেন রিকশা-ভ্যান চোরাই সিন্ডিকেট। তাকে গ্রেপ্তারের পর গোয়েন্দার বলছেন, রিকশা চুরি ফারুকের পেশা নয়, নেশায় পরিণত হয়েছে।

গবেষণায় উঠে এসেছে, ঢাকায় বৈধ-অবৈধ মিলে প্রায় এগারো লাখ রিকশা চলে। দিনে একটি রিকশা দুই শিফটে চলে। সেই হিসেবে চালকের সংখ্যা আনুমানিক বাইশ লাখ। এদের বেশির ভাগই আবার ভাড়ায় চালান। জীবিকা নির্বাহের তিন চাকার এই বাহনটি যখন চুরি হয়ে যায়, তখন বিষয়টি হয়ে উঠে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা।

ঢাকা থেকে প্রতিদিন কি পরিমাণ রিকশা চুরি হয় তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই। কারণ চুরি হলেও ভুক্তভোগীরা মামলা কিংবা তেমন কোনো অভিযোগ করেন না। সম্প্রতি কদমতলী থেকে ফারুক মুন্সী নামে এক রিকশা চোরকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। ফারুকের দেওয়া রিকশা চুরির তথ্যে অবাক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

মাদারীপুরের ফারুক যখন ঢাকায় আসে তখন তার বয়স ছিল ১০। আর ১৩ বছর বয়সে রিকশা চুরির মধ্য দিয়ে নাম লেখায় এ লাইনে। দুই যুগ আগে একটি চোরাই রিকশা বিক্রি করত দেড়শো থেকে দুইশো টাকায়। এখন সে নিজেই তৈরি করেছে রিকশা-ভ্যান চুরির বড় সিন্ডিকেট। প্রতিদিন তিন থেকে চারটি রিকশা চুরি করে। বিক্রি করে দুই থেকে আড়াই হাজারে। ব্যাটারিচালিত হলে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকায়। ২৫ বছরে ২০ হাজারেরও বেশি চুরির কথা স্বীকার করেছে সে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ওয়ারি বিভাগ) মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, চুরি করে পাওয়া অর্থের পুরোটাই সে ব্যবহার করে মাদকের পেছনে। ফারুক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

এসএইচ-০২/০৭/২১ (অনলাইন ডেস্ক)