টিকার দুই ডোজ না নিলে মসজিদে ঢোকা যাবে না

পাকিস্তানে কেবল টিকা দেওয়া ব্যক্তিরাই মসজিদ কিংবা উপাসানলয়ে ঢুকতে পারবেন। শনিবার দেশটির ন্যাশনাল কমান্ড অ্যান্ড অপারেশন সেন্টার (এনসিওসি) এমন নির্দেশনা জারি করেছে।

করোনার পঞ্চম ঢেউ চলছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে। মহামারির বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনসিওসি।

এতে বলা হয়, টিকা নেওয়া ছাড়াও মসজিদে ঢুকতে হলে মুসল্লিদের মাস্ক পরতে হবে। বারবার হাত ধোয়াসহ ছয় ফুট সামাজিকদূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

নামাজের জায়গা থেকে কার্পেট সরিয়ে ফেলতে হবে। শুধু তা-ই না, মুসল্লিদের উপস্থিতিও ন্যূনতম হতে হবে। জুমার নামাজের সময় কমিয়ে আনতে হবে। আর নামাজের সময় বায়ু চলাচল নিশ্চিত করতে দরজা ও জানালা খুলে রাখতে হবে।

তবে খোলা স্থানে নামাজ আয়োজনেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বয়স্ক ও আগে থেকে অসুস্থদের বাসায় বসে নামাজ আদায়েরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যানুসারে, পাকিস্তানে প্রতিদিন গড়ে ছয় হাজার ২০৮ নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। সরকার যেসব জেলাগুলোতে করোনা পরীক্ষায় পজিটিভিটির হার ১০ শতাংশের ওপরে সেখানে বিয়ের অনুষ্ঠানসহ ঘরের ভেতরের সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি স্কুল ও যেসব খেলাধুলায় শারীরিক সংস্পর্শ লাগে সেগুলো বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।

এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওমিক্রন ধরন ছড়িয়ে পড়ায় চলতি মাসে আমরা করোনার প্রকোপ ব্যাপকহারে বাড়তে দেখছি। এ সপ্তাহের শুরুতে বাড়ির ভিতরে জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এছাড়া যেসব শহরে করোনার প্রকোপ ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে, সেসব এলাকায় বিয়ের আসর থেকে শুরু করে বড় ধরনের জমায়েতে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে পাকিস্তানে বুস্টার ডোজ বিতরণ শুরু হয়েছে। যাদের বয়স ত্রিশ বছরের বেশি ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা নেই, বুস্টার ডোজে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

হেলথ সার্ভিসেস অ্যাকাডেমির উপাচার্য ডা. শাহজাদ আলী খান বলেন, ওমিক্রনের কারণে হঠাৎ করে করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেছে। মনে হচ্ছে, অতিসংক্রামক ভাইরাসটি পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছে এবং আবহাওয়া ও বাতাসে দীর্ঘক্ষণ টিকে থাকতে পারে।

এসএইচ-২৩/২৪/২২ (অনলাইন ডেস্ক)