ফ্রি পাওয়া চেয়ারের ভেতর মিললো ৩৩ লাখ টাকা!

স্বামী মারা যাওয়ার পর মেয়ে ও নাতি-নাতনিদের কাছাকাছি থাকতে কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি বাসায় ওঠেন ভিকি উমোদু নামে ষাটোর্ধ্ব এক নারী।

পুরোনো আসবাবপত্র আনতে না পারায় নতুন বাসার জন্য কিছু চেয়ার, টেবিল, সোফা খুঁজছিলেন তিনি। এমন সময় অনলাইনে একটি বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে উমোদুর, যেখানে বিনামূল্যে আসবাবপত্র দেওয়ার কথা লেখা ছিল।

বিজ্ঞাপনটি দেখে যারপরনাই খুশি হন নাইজেরিয়ায় বংশোদ্ভূত উমোদু। কিন্তু জানতেন না, এর চেয়েও বড় চমক অপেক্ষা করছে তার জন্য।

গত ১৮ মে উমোদু ও তার ছেলে নির্ধারিত জায়গা থেকে বিনামূল্যে পাওয়া আসবাবগুলো সংগ্রহ করে নতুন বাড়ি সাজাচ্ছিলেন। এমন সময় অদ্ভূত কিছু লক্ষ্য করেন ওই নারী।

তিনি দেখেন, ক্রিম কালারের একটি আর্মচেয়ারের কুশনটা কেমন যেন উঁচু মনে হচ্ছে। উমোদু ভেবেছিলেন, ভেতরে হয়তো হিটিং প্যাড বসানো। এজন্য সেটি বের করতে কুশন খোলেন তিনি। কিন্তু এরপর রীতিমতো চোখ কপালে ওঠার জোগাড়!

উমোদু বলেন, ভেতরে হিটিং প্যাড ছিল না। কিন্তু বুঝতে পারছিলাম কিছু কাগজ রয়েছে। সেগুলো বের করতেই আমি চমকে উঠি।

কুশনের ভেতরে কয়েকটি কাগজের প্যাকেটে নগদ অর্থ ও ব্যাংক ডিপোজিটের কাগজপত্র রাখা ছিল। গুনে দেখা যায়, সেখানে সবমিলিয়ে ৩৬ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৩ লাখ ২৯ হাজার টাকা প্রায়) রয়েছে।

বিপুল এই অর্থ দিয়ে হয়তো নতুন আসবাব কিনতে পারতেন ভিকি উমোদু। কিন্তু তাতে বাধা দেয় বিবেক। তাই যার কাছ থেকে আসবাবগুলো বিনামূল্যে পেয়েছিলেন, তার কাছেই অর্থগুলো ফেরত দিয়ে আসেন। আর তাতে খুশি হয়ে সেই ব্যক্তি তাদের আরও কিছু আসবাব দিয়ে দেন।

উমোদু বলেন, আমি জানতাম, ওগুলো রাখতে পারবো না। কারণ ওর মালিক আমি নই। আমাকে ফেরত দিতেই হবে।

তিনি জানান, বিজ্ঞাপনদাতা বলেছিলেন, আসবাবগুলো ছিল তার মৃত চাচার। এ কারণে সেগুলো অভাবী লোকদের দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারা।

এসএইচ-১৬/০৮/২২ (অনলাইন ডেস্ক)