নাতনিকে হত্যা করে দাদা বলল ‘আমার কিছু মনে নেই’

মর্মান্তিক এক হত্যাকাণ্ড। যার শুরু হয়েছিল পারিবারিক তর্কে। শেষ হয় এক ট্র্যাজেডির মধ্য দিয়ে। জাপানে এক কিশোরীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে তার বৃদ্ধ দাদা। এ ঘটনা সামনে আসার পর হতবাক পুরো দেশ।

গত মাসে পশ্চিম জাপানের একটি আদালতে, প্রায় দুই বছর আগে নিজের নাতনি তোমোমিকে (১৬) হত্যা করার কথা স্বীকার করেন ৮৮ বছর বয়সী সুসুমু তোমিজাওয়া। কিন্তু তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার আর কিছুই মনে নেই।’

রোববার চাঞ্চল্যকর এ খবর জানায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। প্রতিবেদনে বলা হয়, সুসুমু তোমিজাওয়া মূলত মস্তিষ্কের রোগ আলঝেইমারে (স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়া) আক্রান্ত।

আদালতে সুসুমু’র আইনজীবীরা যুক্তি দেন যে তাকে অপরাধমূলকভাবে দায়ী করা উচিত নয় কারণ তার স্মৃতিশক্তি লোপ পেয়েছে। তারা বলেন, ‘ঘটনার সময় সুসুমু ডিমেনশিয়ায় ভোগা এবং অ্যালকোহল সেবনের কারণে উন্মাদ ছিল। এ কারণে তাকে নির্দোষ ঘোষণা করা উচিত।’

কিন্তু ফুকুই শহরের আদালত এ যুক্তি খারিজ করে দিয়ে সুসুমু তোমিজাওয়াকে হত্যার দায়ে সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ড দেন। গত ৩১ মে এই রায় ঘোষণা করা হয়। ঘটনাটি জাপানে অনেককে হতবাক করেছে।

বয়স্ক নাগরিকের পাশাপাশি জাপানে স্মৃতিভ্রংশ বা ডিমেনশিয়া রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মতে, ডিমেনশিয়া এমন এক ধরনের রোগ যা মানুষের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলে। এ রোগে স্নায়ুকোষ, তথ্যবাহী স্নায়ুতন্তু ও স্নায়ু সংযোগ নষ্ট হয়ে যায়। এর কারণে রোগীরা অনেক কিছুই ভুলে যান।

মস্তিষ্কের এ ধরনের রোগ আলঝেইমার নামেও পরিচিত। তবে আলঝেইমার ও ডিমেনশিয়া রোগের মধ্যে কিছু পার্থক্যও রয়েছে। ডিমেনশিয়ার কারণে যে কোনো বয়সী মানুষ স্মৃতি হারিয়ে ফেলতে পারেন। তবে আলঝেইমারের সঙ্গে বয়সের যোগসূত্র রয়েছে। অর্থাৎ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়তে থাকে।

এসএইচ-১৭/১২/২২ (অনলাইন ডেস্ক)