লিখিত পরীক্ষার চিঠি পেলেন আবেদনের ৮ বছর পর

প্রায় ৮ বছর আগে সহকারী ব্যবস্থাপক পদের জন্য আবেদন আহ্বান করেছিল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। আবেদনকারীদের মধ্যে প্রাথমিক বাছাইকৃতদের লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র পাঠানোর বিষয়ে সম্প্রতি গত ১ জুন চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।

বাপেক্সের জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) মো. আবুল বশরের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘উপর্যুক্ত পদে ২০১৪-১৫ সালে চাকুরির আবেদন করায় আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। প্রাথমিক যাচাই বাছাইয়ে আপনি লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।’

আবেদনকারীদের ব্যক্তিগত বিবরণ এবং ছবি ও এই চিঠির কপি কারওয়ানবাজারে বাপেক্স ভবনে ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে।

‘অন্যথায়, লিখিত পরীক্ষার জন্য আপনাকে প্রবেশপত্র পাঠানো সম্ভব হবে না,’ এতে বলা হয়।

২০১৪-১৫ সালে ওই পদে আবেদন করেছিলেন মোতালেব হোসেন। বর্তমানে তিনি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সিনিয়র অফিসার। তিনিও বাপেক্সের এমন একটি চিঠি পেয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মোতালেব দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আবেদন যে করেছিলাম, ভুলেই গিয়েছিলাম। চিঠি পেয়ে আমি খুবই অবাক।’

‘তখন হলে থাকতাম। হলেরই এক আবাসিক ছাত্র আমাকে চিঠি সম্পর্কে জানালো,’ বলেন তিনি।

সে সময় আবেদনকারীদের অনেকেই বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন বলে জানান তিনি।

আরেক আবেদনকারী বলেন, ‘এটা বাপেক্স কর্তৃপক্ষের নিছক অবহেলার প্রমাণ। আমার চাকরির বয়সসীমা ২০১৬ সালে শেষ হয়ে গেছে। বেশ কয়েক বছর আগে আমি চাকরির প্রস্তুতি নেওয়া বন্ধ করেছি। এখন আমি কীভাবে পরীক্ষায় বসব?’

ওই চাকরির বিজ্ঞপ্তি ও পদের সংখ্যা জানতে বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তাদের অনেকেই প্রায় ভুলেই গেছেন বিষয়টি।

এমন একজন প্রার্থী আবদুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমি শুধু মনে করতে পারি আমি ২০১৪ ও ২০১৫ সালে এই পদের জন্য ২ বার আবেদন করেছিলাম। ভেবেছিলাম পরীক্ষা হয়তো হয়ে গেছে এবং আমি মনে হয় প্রবেশপত্র পাইনি।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার এক বন্ধুর পোস্ট দেখে তিনি লিখিত পরীক্ষার জন্য বাপেক্সের আহ্বান সম্পর্কে জানতে পারেন।

রহমান পরে হলে যোগাযোগের চেষ্টা করেন, যে তারা নামে এমন কোনো চিঠি দেওয়া হয়েছে কি না।

যোগাযোগ করা হলে বাপেক্সের মহাব্যবস্থাপক আবুল বশর ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘প্রশাসনিক জটিলতার কারণে দেরি হয়েছে। জটিলতা নিরসন হওয়ায় আমরা লিখিত পরীক্ষার আহ্বান জানিয়েছি।’

চাকরিপ্রার্থীদের উপরোক্ত উদ্বেগের বিষয়ে জানতে চাইলে বশর বলেন, ‘তাহলে এখন আমার কী করা উচিত?’

এসএইচ-০৮/২৮/২২ (অনলাইন ডেস্ক, সূত্র : দ্য ডেইলি স্টার)