পাক-ভারত উত্তেজনা নিরসনে সৌদি যুবরাজের বিশেষ বার্তা

পাকিস্তান সফররত সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবাইর বৃহস্পতিবার পাকিস্তান সফর করেছেন। এসময় তিনি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির সঙ্গে এক পূর্বনির্ধারিত বৈঠকে অংশ নেন। আদেল এমন সময় পাকিস্তান সফর করলেন যখন প্রতিবেশী এবং চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গে দেশটির সামরিক উত্তেজনা বাড়ছে। পাকিস্তানী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দুই দেশের মাঝে উত্তেজনা নিরসনে সৌদি যুবরাজের বিশেষ বার্তা নিয়ে এসেছেন আদেল আল-জুবাইর। আজ রাতেই তিনি সৌদি আরব ফিরে যাবেন।

এদিকে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন সময় এই সফর করছেন যার কিছুদিন আগেই আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত মুলসিম দেশগুলোর জোট ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে ভারতকে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানোর প্রেক্ষিতে পাকিস্তান ওই সম্মেলন বর্জন করে। মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি আরবের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানও ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষায় ওআইসির ভূমিকার সমালোচনা করে সম্মেলন বর্জন করে। সৌদি-ভারত আঁতাতের প্রেক্ষিতে পাল্টা ইরান-পাকিস্তান দাঁতাতের শঙ্কা করছে রিয়াদ।

বৃহস্পতিবার কুরেশি-আদেল বৈঠকে পাক-ভারত সামরিক উত্তেজনা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং দ্বিপাক্ষিক স¤পর্কের নানাদিক আলোচনা করা হয়। এই সময় আদেল পাক-ভারত উত্তেজনা হ্রাসে সৌদি যুবরাজ মধ্যস্ততাকারীর ভূমিকা পালন করতে চান বলে জানিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে কুরেশি বলেন, সঙ্কট নিরসনে সৌদি যুবরাজ যে প্রস্তাব দিয়েছেন আমরা তাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।

সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা যায়, আদেল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গেও এক বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন। এই বৈঠকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উত্তেজনা নিরসনে পাকিস্তানের প্রতি চাপ দেবে সৌদি আরব এমন ইঙ্গিত দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে এশিয়া সফরে এসে পাকিস্তানের চাইতে ভারতে প্রায় পাঁচগুণ বেশি অর্থ বিনিয়োগের ঘোষণা দেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন-সালমান।

এই সফরে সৌদি যুবরাজ অর্থনৈতিক দুর্দশায় জর্জরিত দেশটির অর্থনীতি চাঙ্গা করতে ২ হাজার কোটি ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি করেন। পাকিস্তানে তাকে খুবই ইতিবাচক সংবর্ধনা দেয়া হয়। এরপরেই একদিনের সফরে ভারত যান বিন সালমান। ভারতে তাকে প্রচলিত কূটনৈতিক প্রথা ভেঙ্গে আলিঙ্গন করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতের অর্থনীতিতে সৌদি যুবরাজ ১০ হাজার কোটি ডলারের বিশাল বিনিয়োগের ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদার করতে ভারতের সঙ্গে সামরিক এবং কৌশলগত স¤পর্ক জোরদারের বিষয়টিও এই সফরে গুরুত্ব পায়।

এসএইচ-২৬/০৭/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক, তথ্য সূত্র : জিও নিউজ, ডন, সামা টিভি)