ভারতে ভোট ১১ এপ্রিল

জম্মু ও কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা ‘জ্যান্ত’ রেখেই জাতীয় নির্বাচন (লোকসভা) শুরুর তারিখ ঘোষণা করেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারত। আগামী ১১ এপ্রিল থেকে সাত দফায় এই নির্বাচন হবে। আর ফলাফল ঘোষণা হবে ২৩ মে।

রোববার ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা এই তফসিল ঘোষণা করেন বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি খবর দিয়েছে।

ভারতজুড়েই ১১ এপ্রিল, ১৯ এপ্রিল, ২৩ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল, ৬ মে, ১২ মে, এবং ১৯ মে এই নির্বাচনের ভোট হবে।

এনডিটিভি’র খবরে বলা হয়, আসন্ন নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টানা দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

অন্যদিকে বিরোধী দলগুলো তাকে সরানোর চেষ্টায় জোট বাধায় নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভারতের ৫৪৩টি আসনে লোকসভা নির্বাচন হবে। ৯০০ মিলয়ন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। বর্তমান লোকসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি বছরের ৩ জুন।

লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন হবে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশে।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় প্যারা-মিলিটারির কনভয়ে আত্মঘাতী হামলায় ৪২ জওয়ান নিহত হন। পরে জইশ-ই মোহাম্মদ এ হামলার দায় স্বীকার করে।

ওই হামলার পর ভারত প্রতিবেশী পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং পরে নিয়ন্ত্রণরেখা পার হয়ে দেশটির ভূখণ্ডে গিয়ে বিমান থেকে বোমা ফেলে শতশত সন্ত্রাসী হত্যার দাবি করে।

যদিও পাকিস্তান বোমা ফেলার কথা জানালেও হতাহতের তথ্য অস্বীকার করে। এক পর্যায়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে এবং পাইলট উইং কমান্ডার অভিনন্দনকে আটক করে। পরে অবশ্য শান্তি প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তাকে ফেরত দেয়।

এরপরও ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে এই ইস্যুতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক শিবির হামলার পাল্টা জবাব দেয়ায় প্রথমে মোদি সরকার এবং সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে।

কিন্তু, পরে সার্জিক্যাল স্টাইক ‘ভুয়া’ প্রমাণ হলে কংগ্রেস থেকে মোদি সরকারের দিকে তোপ দাগা হয়। তাদের অভিযোগ, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভোটার টানতেই বিজেপি কাশ্মীর ইস্যু জিইয়ে রেখেছে।

এসএইচ-২৯/১১/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)