মিষ্টিতেও ভারতের ভোটের রঙ

ভারতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে অভিনব সব প্রচারে নেমেছে দেশটির রাজনৈতিক দলগুলো। সম্প্রতি ভারতের বাজারে ‘মোদি শাড়ি’ আর ‘মমতা শাড়ি’ বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে তার চেয়েও ব্যতিক্রম চোখে পড়ল যখন দেখা গেল মিস্টান্নের মধ্যে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতীক।

কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার প্রত্রিকায় এ নিয়ে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ক্ষমতাসীন বিজেপি, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গে মমতার নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস ও বামপন্থী সিপিএম সমর্থকদের জন্য আলাদা ধরনের মিষ্টির পসরা সাজিয়ে বসেছেন মিষ্টির কাগিররা।

কলকাতার বাজারে ভোটের প্রচারে হিসেবে এর আগেই দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ নানা নেতার ছবি অঙ্কিত শাড়ি। নির্বাচনে ব্যবসায়িক ফায়দা নিতে দলগুলোর নির্বাচনী প্রতীক পদ্ম, জোড়াফুল, কাস্তে হাতুড়ি কিংবা পাঞ্জার ছবি এঁকে মিষ্টি বানিয়েছেন ময়রারা।

কলকাতার মিষ্টান্ন প্রস্তুতকারী ‘ফেলু মোদক’র মালিক অমিতাভ দে বলেন, ‘নির্বাচনী আমেজে ক্রেতাদের সামনে নতুন কিছু হাজিরের লক্ষ্যে নুতন ধরনে এই মিষ্টি বাজারে নিয়ে এসেছি আমরা।’ বাজারে আসার পর থেকেই এসব মিষ্টির চাহিদাও বেশ ভালো বলে জানালেন তিনি।

ফেলু মোদক নামে ওই মিষ্টান্নের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে ৩০ গ্রাম থেকে শুরু করে ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত ওজনের মিষ্টি। দামও ৩০ থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত।

সিপিআইএমের লাল রংয়ের মিষ্টিতে ব্যবহার করা হয়েছে স্ট্রবেরি ফ্লেবার। তৃণমূলের মিষ্টির ফ্লেবার পেস্তা বাদামের। বিজেপির মিষ্টি কেশর রঙে রাঙা। আর কংগ্রেসের জন্য সাদা ক্ষীরের সন্দেশে থাকছে বাদামের মিশেল।

তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ভোট মানে তো গণতন্ত্রের উৎসব। বাঙালির কোনও উৎসব কি মিষ্টি ছাড়া সম্পন্ন হয় নাকি! দলীয় প্রতীক আঁকা মিষ্টি পেলে তো দারুণ হবে।’

সিপিআইএমের হুগলি জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, ‘মিষ্টির আবার দলাদলি কী? তবে ভোটের মুখে এ সব এক ধরনের মজাও। গণতন্ত্র রক্ষা করতে হলেও মুখমিষ্টি হওয়া জরুরি।’

আনন্দবাজার বলছে, দুর্গাপুজা, ভাইফোঁটা থেকে শুরু করে পহেলা বৈশাখ পর্যন্ত বাঙালির প্রতিটি উৎসবেই নতুন কিছু নিয়ে হাজির হন মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা। সবে শেষ হয়েছে দোল উৎসব আর সামনে নববর্ষ তারপরই জামাই ষষ্ঠী। আর তারই মাঝে আর এক উৎসব ভোট। জমিয়ে ব্যবসা করে নিতেই এই মিষ্টি।

এসএইচ-১৪/০৭/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)