ভারতে স্কুলে কোরআন শরীফকে পাঠ্য করার প্রস্তাব

ভারতের নারী ও শিশু বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী মেনেকা গান্ধী প্রস্তাব দেন ভারতের স্কুলগুলোতে কমপক্ষে পবিত্র কোরআন শরীফসহ ছয়টি পাঠ্যবই অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। গত জানুয়ারিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেন্ট্রাল অ্যাডভাইজারি বোর্ডে বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি।

কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী মানেকা গান্ধী বলেন, এখন ধর্ম নিয়ে বিভিন্ন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এর একটি কারণ হল যে শিশুরা অন্যান্য ধর্ম সম্পর্কে যথেষ্ট পরিমাণ জানে না।

এ কারণে একটি অন্ধ বিদ্বেষ কাজ করে। এ জন্য শৈশবেই ধর্মীয় শিক্ষাদানের প্রস্তাব দেন মানেকা গান্ধী। হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ, শিখ এবং ইসলামের মতো প্রধান ধর্মের ধর্মগ্রন্থগুলো পড়ানো হলে শৈশবেই তা ছাত্রদের মেধাবিকাশ ঘটাবে।

মানেকা বলেন, স্কুলে পড়ার সময় আমাদের নৈতিক জ্ঞানের বিষয়টি পড়ানো হতো। কিন্তু এখন আর তা পড়ানো হয় না। আমাদের মধ্যে কতজন নিজেদের ধর্মগ্রন্থ পাঠ করেছেন? আমি কোরআন পড়েছি। আমাদের মধ্যে কতজন জানে যে, নবী মোহাম্মদ (সা.) যুদ্ধবিরোধী ছিলেন?

ভারতের স্কুলগুলোতে ইসলামসহ অন্যান্য ধর্মে ধর্মীয় গ্রন্থগুলো পড়ালে সহিংসতা অনেকাংশে কমে যাবে বলে মত দেন তিনি। মানেকা গান্ধী মানব সম্পদ উন্নয়নে মন্ত্রণালয়ের নিকট আহ্বান জানান যে, স্কুলগুলোতে সপ্তাহে কমপক্ষে দুই দিন ছয়টি ধর্মের পবিত্র গ্রন্থের বিষয়ে যেন ক্লাস নেয়া হয়।

এসএইচ-১৯/০২/১৯ (অান্তর্জাতিক ডেস্ক, তথ্য সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস)