খাশোগি হত্যাকাণ্ডে সালমানের জড়িত থাকার ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ’ রয়েছে!

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের উচিত সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা আরও সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করা। কারণ এই হত্যাকাণ্ডে যুবরাজ সালমান এবং দেশটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা জড়িত থাকার ব্যাপারে ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ’ রয়েছে। বুধবার প্রকাশিত জাতিসংঘের ১০০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ান।

সৌদি কনস্যুলেটে ব্যক্তিগত কাগজ সংগ্রহ করতে গিয়ে গত বছরের ২ অক্টোবর সৌদি আরবের একদল নিরাপত্তা কর্মকর্তার হাতে নিহত হন খাশোগি।

সৌদি সরকার প্রথমে বিষয়টি বেমালুম অস্বীকার করলেও পরে খাশোগিকে হত্যা করে তার লাশ ধ্বংস করে ফেলার কথা স্বীকার করে। তবে রিয়াদ এ ঘটনায় যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের জড়িত থাকার কথা এখনো অস্বীকার করে যাচ্ছে।

এদিকে, জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন একটি তদন্ত দল মনে করছে, সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি হচ্ছেন দেশটির যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান।

সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সিএনবিসি টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার ঘটনায় সৌদি আরবকে শাস্তি পেতে হবে।

মাইক পম্পেও বলেন, খাশোগি হত্যার ঘটনায় আমরা বিশ্বকে খুব পরিষ্কার বার্তা দিয়েছি। এটা ছিল একটা ঘৃণ্য কাজ, এটা অগ্রহণযোগ্য। এই হত্যাকাণ্ডের শাস্তি অন্য দেশগুলোকে পথ দেখাবে।’

যদিও পম্পেওর এ বক্তব্যকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্যের কিছুদিন আগেও ট্রাম্প বলেছেন, খাশোগি হত্যার ঘটনায় রিয়াদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলে তা আমেরিকার স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর হবে।

এসএইচ-২৫/১৯/১৯ (আন্তর্জাাতিক ডেস্ক)