মোদির নিরাপত্তায় অর্থ বরাদ্দ বাড়লেও কমেছে জনগণের জন্য

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপের (এসপিজি) জন্য বাজেটে বরাদ্দ বাড়লেও কমেছে জনসাধারণের নিরাপত্তা খাতে। গত বছর এসপিজির জন্য বরাদ্দ হয়েছিল ৫৪০ কোটি ১৬ লাখ রুপি। এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯২ কোটি ৫৫ লাখে।

অতীতে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এসপিজির নিরাপত্তা পেতেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরাও। কিন্তু দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েই এ আইনে পরিবর্তন আনেন নরেন্দ্র মোদি। নতুন আইনে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরাই এসপিজির নিরাপত্তা পাবেন।

প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় ৫২ কোটি রুপি বাড়লেও সেই তুলনায় অর্থ বরাদ্দ কমেছে পুলিশের আধুনিকীকরণে। এ খাতে গত বছরের তুলনায় প্রায় দেড়শ’ কোটি রুপি কম বরাদ্দ হয়েছে। সাধারণত এই খাতে কেন্দ্রীয় সরকার যে অর্থ রাজ্যগুলোকে দেয়, তা পুলিশের জন্য আধুনিক অস্ত্র-সরঞ্জাম কেনা, প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত হয়। বিরোধীদের অভিযোগ, এই খাতে অর্থ বরাদ্দ কম হওয়ায় পুলিশবাহিনীর আধুনিকীকরণ ধাক্কা খাবে।

এছাড়া বরাদ্দ কমেছে সীমান্ত ও মাওবাদী এলাকার পরিকাঠামো উন্নয়নেও। গত বছর বিভিন্ন রাজ্যের প্রকল্পে ৪ হাজার ৯৭৯ কোটি রুপি বরাদ্দ হলেও এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৪৫ কোটি। অর্থাৎ বরাদ্দ কমেছে প্রায় ৯৯৪ কোটি রুপি।

তবে সামান্য বরাদ্দ বেড়েছে প্রতিরক্ষা খাতে। গুরুত্বপূর্ণ এই খাতটিতে বরাদ্দ হয়েছে ৪ দশমিক ৭১ লাখ কোটি রুপি, যার মধ্যে প্রায় ১ দশমিক ৩৪ লাখ কোটিই ব্যয় হবে পেনশন খাতে। বাকি অর্থ গতবারের বরাদ্দের চেয়ে মাত্র ১ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।

এসএইচ-১৬/০৩/২০ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)