ফের ভারত-চীন উত্তেজনা তুঙ্গে

লাদাখ সীমান্তে পাল্টাপাল্টি সামরিক পদক্ষেপে আবারও ভারত চীন উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছে। চীনের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক সামরিক পদক্ষেপের অভিযোগ এনে তা প্রতিহত করার দাবি করেছে ভারত। তবে ভারতের বিরুদ্ধে সার্বভৌমত্ব নষ্টের অভিযোগ এনে তাদের রুখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে চীন।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, লাদাখের উত্তরাঞ্চলীয় প্যাংগং সীমান্তে বিপুল সংখ্যক সেনা নিয়ে বিতর্কিত সীমানার একটি পাহাড় দখলের চেষ্টা করে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি পি.এল.এ.। তবে তাদের সামরিক সেই উসকানিমূলক পদক্ষেপ ভারতীয় বাহিনী রুখে দিয়েছে বলে দাবি ভারতের। সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধানে বদ্ধপরিকর ভারতীয় সেনাবাহিনী। একইসঙ্গে আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায়ও তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ভারত ও চীনা সেনাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে বলেও জানিয়েছে ভারতের একাধিক গণমাধ্যম। তবে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। উত্তেজনা নিরসনে চুসুলে ব্রিগেডিয়ার পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে বলেও জানা গেছে। তবে বৈঠকের ফলাফল আদৌ ফলপ্রসু হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা।

ভারত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ দানবীর সিং বলেন, ‘চুসুলে এখনো ব্রিগেডিয়ার পর্যায়ে বৈঠক চলছে। তবে এটি সফল হবে কি না এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে কেননা, এর আগে জেনারেল পর্যায়ে ছয় দফা বৈঠক ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি সেই বৈঠক থেকে কিছুই অর্জিত হয়নি।’

ভারত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ পি.কে. সেগাল বলেন, ‘চীনা সেনারা যদি পাহাড় নিয়ন্ত্রণে নিতো তাহলে তারা কৌশলগতভাবে বেশ এগিয়ে যেতো। কেননা তারা দারপোক, চুসুল, দেমচোক অঞ্চলের সড়কে ব্যঘাত সৃষ্টি করতে পারতো। দক্ষিণাঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নিলে নলেহ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণও নিয়ে নিতো।’

ভারতের অভিযোগ অস্বীকার করে চীনের পাল্টা দাবি, ভারতীয় সেনারা চীনের সার্বভৌমত্বে আঘাত হেনেছে। চীনের আঞ্চলিক স্বার্বভৌমত্ব ও শান্তি স্থিতিশীলতা রক্ষায় দেশটি কড়া নজর রাখছে বলেও জানানো হয়।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, ‘চীনের সীমান্ত রক্ষীরা নিয়ন্ত্রণ রেখায় অবস্থান করতে বাধ্য। এ পরিস্থিতিতে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।

গেল ১৫ জুন গালওয়ান সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় ও ৪০ চীনা সৈন্য হতাহতের পর লাদাখ সীমান্তে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছে ভারত ও চীন। লে বিমানবন্দরে তৈরি রয়েছে যুদ্ধবিমান। বেশ কিছু দিন অচলবস্থার পর দু পক্ষই সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নিতে রাজি হলেও এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি।

এসএইচ-১১/০১/২০ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)