ভারতে জানুয়ারি থেকে ভ্যাকসিন প্রদান শুরু

ভারতে আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে জনগণের মাঝে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসিকে ভারতের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, জরুরি ব্যবহারের জন্য কয়েকটি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয়া হবে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ থেকে এই অনুমোদন আসতে পারে।

দুটি কোম্পানি ইতোমধ্যেই অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে। আরও ছয়টি কোম্পানি তাদের ক্লিনিক্যাল ট্র্যায়ালের বিভিন্ন ধাপে রয়েছে। আগামী বছরের আগস্টের মধ্যে ভারতে ৩০ কোটি মানুষকে করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

ভারতে এখন পর্যন্ত প্রায় এক কোটি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি। তবে সম্প্রতি সংক্রমণের হার কিছুটা ধীরগতির হলেও দ্রুত ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচী শুরুর পরিকল্পনা চলছে।

যে দুটি কোম্পানি ভ্যাকসিনের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছে তারা হলো- ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যালস অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে চুক্তি করা ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউটের কোভিশিল্ড এবং ভারতীয় চিকিৎসা গবেষণা কাউন্সিল ও ভারত বায়োটেকের যৌথ উদ্যোগে বানানো কোভ্যাক্সিন।

ভারত বিভিন্ন দেশের সঙ্গে লাখ লাখ ভ্যাকসিনের জন্য চুক্তি করেছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে কর্মকর্তারা জানান, দেশে উৎপাদিত ভ্যাকসিনের মজুত নিয়েই তারা সন্তুষ্ট।

এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি এবং আমাদের চাহিদার কথা জানিয়েছি। তাদের উৎপাদন ক্ষমতা সম্পর্কেও জেনেছি।’

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট ও ভারত বায়োটেক প্রতিমাসে সাড়ে ছয় কোটি ভ্যাকসিন উৎপাদনে সক্ষম বলে কর্মকর্তারা জানান।

ভারতে প্রথম ধাপে এক কোটি স্বাস্থ্যকর্মী এবং পুলিশ, সামরিক বাহিনীর সদস্য, পৌরসভার কর্মী প্রভৃতি সম্মুখ সারির কর্মীদের ভ্যাকসিন দেয়া হবে। এর পরের ধাপে, পঞ্চাশোর্ধ ও পঞ্চাশের কম ব্যক্তিদের মধ্যে যারা গুরুতর এবং একাধিক রোগে আক্রান্ত তাদেরকে ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে।

এসএইচ-২৮/১৮/২০ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)