ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে তদন্ত চায় অ্যামনেস্টি

ইরানে অনুষ্ঠিত ১৩তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হলেন সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসি। তিনি ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলেন।

তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ড. মোহসেন রেজায়ীর চেয়ে ১ কোটি ৫৫ লাখ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাকে বিভিন্ন দেশ অভিনন্দন জানালেও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। খবর রয়টার্সের।

১৯৮৮ সালে হাজার হাজার রাজনৈতিক বন্দিকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়। ওই সময় রাইসি বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চায় অ্যামনেস্টি।

শনিবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে এই আহ্বান জানানো হয়েছে। যদিও ইরান কখনোই সেই গণমৃত্যুদণ্ডের কথা স্বীকার করেনি। এছাড়া রাইসিও প্রকাশ্যে কখনো এ ব্যাপারটি নিয়ে কোনো কথা বলেননি।

উল্লেখ্য, ইব্রাহিম রাইসির পুরো নাম সৈয়দ ইব্রাহিম রাইসুল-সাদাতি। বর্তমান ইরানের প্রধান বিচারপতি তিনি। ৬০ বছর বয়সী রাইসি দেশটির ক্ষমতাসীন সরকারের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অন্যতম ইব্রাহিম রাইসি।

ইরানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এবং রাইসির জন্ম একই স্থানে, তথা দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় শহর মাশহাদে। খামেনির মতো না হলেও দেশটির সংখ্যাগুরু শিয়া সম্প্রদায়ের কট্টরপন্থীমহলে তার জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা ব্যাপক।

এসএইচ-১৭/২০/২১ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)