আশরাফ ঘানি কোথায়, জানা গেল

ল্যাম্পপোস্টে

মানবিক কারণে আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিকে আশ্রয় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। বুধবার ব্রিটেনভিত্তিক মিডলইস্ট আই এমন খবর দিয়েছে।

গত রোববার তালেবানের হাতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পতন হলে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি। এক বিবৃতিতে আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করছে যে, আমরা মানবিক কারণে আশরাফ ঘানি ও তার পরিবারকে স্বাগত জানিয়েছি।

এদিকে ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর প্রধান নিক কার্টার বলেছেন, আফগানিস্তানে তালেবানকে নতুন সরকার গঠন করার সুযোগ দেওয়া উচিত। পশ্চিমারা কয়েক দশক ধরে বিদ্রোহীদের জঙ্গি হিসেবে উপস্থাপন করে আসলেও এবার তাদের আরও যৌক্তিক হিসেবে পাওয়া যেতে পারে।

ইসলামি আন্দোলনটির এক কর্মকর্তা বলেন, গত কুড়ি বছরের ছাঁচের বাইরে এসে তালেবান নেতারা বিশ্বের কাছে নিজেদের তুলে ধরবেন। এই দু’দশকে তালেবান নেতারা অনেকটা গোপনীয়তার সঙ্গে বসবাস করে আসছিলেন।-খবর রয়টার্সের

বুধবার সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন নিক কার্টার। এদিন কারজাইয়ের সঙ্গে তালেবানের বৈঠক হওয়ার কথা। বিবিসির সঙ্গে আলাপকালে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা কর্মীদের প্রধান আরও বলেন, আমাদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে। বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে আমাদের শান্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। তালেবানকে সরকার গঠনের সুযোগ দিতে হবে, যাতে তারা নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতার প্রমাণ দিতে পারেন।

১৯৯০-এর দশক থেকে মানুষ যে তালেবানের কথা স্মরণ করে আসছেন, বর্তমানের তালেবান তাদের থেকে ভিন্ন হতে পারে বলে ধারণার কথা জানিয়েছেন নিক কার্টার। ব্রিটিশ শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা বলেন, যদি আমরা তাদের কোনো সুযোগ করে দিই, তবে সম্ভবত এক যৌক্তিক তালেবানকে আবিষ্কার করতে পারবো।

এই ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, তারা কোনো সমগোত্রীয় লোকজনের সংস্থা না। তারা বিভিন্ন উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর একটি গ্রুপ। বিভিন্ন গ্রামীণ অঞ্চল থেকে তাদের আবির্ভাব। তারা সত্যিকার অর্থে ‘পাড়ার ছেলে’ বলতে যা বোঝায়, তা। তার পশতুন উপজাতীয় সংস্কৃতির মধ্যে বেঁচে থাকেন। তাদের জীবনের সবকিছুই পশতু সংস্কৃতির।

তার মতে, এখনকার তালেবান অনেক বেশি যৌক্তিক; কম নিপীড়নমূলক। তাদের দিকে খেয়াল করলে এখন যেসব আভাস পাবেন, তাতে তারা অনেক বেশি যৌক্তিক।

যদিও বেশ কিছু ব্রিটিশ সামরিক কর্মকর্তার মধ্যে এ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আফগানিস্তানে ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর সাবেক মেজর জেনারেল ও ন্যাটোর উপদেষ্টা শার্লি হাবার্ট বলেন, তালেবানের মধুর কথাবার্তায় মুগ্ধ হওয়ার কিছু নেই। তালেবান গায়ের জোরে ক্ষমতার দখল করেছে।

তাদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দরকার। চীন, রাশিয়াসহ পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন পেতে তারা এখন মরিয়া। কাজেই নারীর সমঅধিকারের ক্ষেত্রে তারা আকর্ষণীয় শব্দ আওড়াবে, এটিই স্বাভাবিক।

এসএইচ-১৬/১৮/২১ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)