আফগানিস্তানে প্রকাশ্যে গান নিষিদ্ধ হচ্ছে

আফগানিস্তানে

আফগানিস্তানে ফের প্রকাশ্যে গান নিষিদ্ধ করার কথা নিশ্চিত করেছে তালেবান।

মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তালেবান মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ইসলামে গান নিষিদ্ধ। আমরা আশা করছি, লোকজন এমন কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্ত হবে না বলে বোঝাতে পারব।

তালেবান সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন তিনি। ১৯৯৬ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসলে সব ধরনের গান নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। তখন আফগানিস্তানে গান পরিবেশন করা পাপ বলে বিবেচনা করা হতো।

জাবিউল্লাহ বলেন, নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ভিত্তিহীন। নারীদের সব সময় ঘরেই থাকতে হবে বা মুখ ঢেকে রাখতে হবে, এমন নয়।

তিনি বলেন, পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীরা বাইরে বের হতে পারবেন না, এটাও ঠিক নয়। যেসব নারী তিন দিন বা এর বেশি সময়ের জন্য কোথাও যেতে চান, সেখানে পুরুষ অভিভাবক লাগবে। নারীরা আগের মতোই তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন বলেও তিনি আশ্বাস দেন।

এদিকে কাবুল বিমানবন্দর থেকে প্রাইভেট ফ্লাইটে আফগান নাগরিকদের সরিয়ে নিতে কাজ করছে একটি ইসরাইলি সংস্থা। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনীর পূর্ণ প্রত্যাহারের সময়সীমা সামনে রেখে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে শাই তহবিল নামের এই সংস্থাটি।

ইসরাইলভিত্তিক এই সংস্থার যুক্তরাষ্ট্রেও নিবন্ধন রয়েছে। লোকজনকে সরিয়ে নিতে কাবুল বিমানবন্দরে প্রাইভেট ফ্লাইট দেওয়ার কথা বুধবার মিডল ইস্ট আইকে তারা জানিয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩০০ আফগান নাগরিককে কাবুল থেকে সরিয়ে নিয়েছে এই মানবিক সহায়তার সংস্থা।

শাই তহবিলের প্রধান ও জরুরি কার্যক্রম বিশেষজ্ঞ শার্মেইন হেডং বলেন, ৩০০ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসতে আমরা একটি ফ্লাইট পরিচালনা করেছি। এখনো দুটি ফ্লাইট টার্মাকে রয়েছে। তালেবানের হামলার ঝুঁকিতে থাকা যে কাউকে আমরা সহায়তা করছি। তবে ফ্লাইটগুলোর ট্র্যানজিক অবস্থান প্রকাশ করা হয়নি।

এই ফ্লাইট পরিচালনায় মার্কিন সরকারের কোনো ভূমিকা নেই বলেও তিনি জানিয়েছেন। শার্মেইন বলেন, বিমান অবতরণ ও ফ্লাইটে যাত্রী নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই মার্কিন সরকারের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ করতে হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, প্রাইভেট ফ্লাইট পরিচালনায় যুক্তরাষ্ট্র কোনো ভূমিকা রাখছে না। যে কেউ আফগানিস্তান থেকে বেরিয়ে যেতে চান, তাদের অবশ্যই কাবুলে মার্কিন দূতাবাসের নির্ধারণ করে দেওয়া প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ফ্লাইট পরিচালনায় মার্কিন সরকারের কোনো ভূমিকা নেই।

তিনি জানান, তৃতীয় কোনো পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে না যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া কাবুল বিমানবন্দরে তৃতীয় কোনো পক্ষের প্রবেশেও অনুমোদন দিচ্ছে না।

এসএইচ-১৫/২৬/২১ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)