আফগানিস্তানে শনিবার সরকার গঠনের ঘোষণা দেওয়ার কথা ছিল তালেবানের। ইসলামপন্থী সংস্থাটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল গনি বারাদার এই সরকারের নেতৃত্ব দেবেন।
কিন্তু গত মাসে কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে সরকার গঠনের ঘোষণা দ্বিতীয়বারের মতো পিছিয়েছে তালেবান। গোষ্ঠীটির মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, নতুর সরকার ও মন্ত্রিসভা গঠনের ঘোষণা আরেক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে। প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস এমন খবর দিয়েছে।
তবে কেন এই সরকার গঠন পিছিয়ে দিয়েছে, তার কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রশাসন গঠনে তাদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।
সরকার গঠনে বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনার দায়িত্বে থাকা খলিল হাক্কানির বরাতে পিটিআই বলছে, তালেবান নিজেরাই একটি সরকার গঠন করতে পারে। কিন্তু তারা এখন সব পক্ষ ও গোষ্ঠীকে অন্তুর্ভুক্ত করে সরকার গঠন করতে চায়।
কাবুলের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব পালন করছেন খলিল হাক্কানি। তিনি জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার ও ক্ষমতাচ্যুত আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির ভাই হাশমত গনি আহমদজাই সরকারের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন। সম্প্রতি হাশমত গনি আভাস দিয়েছেন, তিনি তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন দেবেন।
এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, তালেবান নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে। কিন্তু একটি সক্রিয় সরকারের জন্য তরুণ, শিক্ষিত আফগানদের সহযোগিতার দরকার পড়বে। কথিত মেয়াদোত্তীর্ণ আফগান রাজনীতিবিদদের একপাশে সরিয়ে রাখা উচিত, যাতে একটি ব্যর্থ জোট সরকারের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকিন তালেবানের কাছে তার প্রত্যাশার কথা পুনরাবৃত্তি করেছেন। যার মধ্যে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের কথা রয়েছে। এছাড়া মানুষের মৌলিক অধিকারের সুরক্ষার পাশাপাশি প্রতিহিংসা চরিতার্থ থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
রোববার কাতারের রাজধানী দোহায় তিনি বলেন, আফগানিস্তানে সবাইকে নিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন হবে বলেই প্রত্যাশা করছি। এতে অ-তালেবানরাও থাকবেন। যারা আফগানিস্তানের বিভিন্ন মানুষের স্বার্থ দেখভাল করবে ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করবে।
এসএইচ-০৮/০৪/২১ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)