মালয়েশিয়ায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেলেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী

গাঁজা পাচারের দায়ে মৃত্যুদণ্ডের সাজা পাওয়া এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অবশেষে খালাস পেয়েছেন। বছরচারেক আগে তিন কেজি ৮৭৫ গ্রাম গাঁজা পাচারের দায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটির আপিল আদালত তাকে খালাস দিয়েছেন।

বিচারপতি হানিফাহ ফারিকুল্লাহর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দিয়েছেন। আপিল বিভাগ জানিয়েছে, একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের ছাত্র মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ খানের আপিল যুক্তিক ছিল। তার কক্ষে গাঁজা রাখার বিষয়টি তিনি জানতেন বলে প্রমাণে রাষ্ট্রপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে।

রায়ে বিচারপতি হানিফাহ বলেন, মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছেন যে তার হোটেল কক্ষে মাদকের একটি ব্যাগ পাওয়া গেলেও সেটি জাওয়াদ নামের আরেক শিক্ষার্থীর ছিল। জাওয়াদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থাকতেন।

গাঁজাসহ হাবিবুল্লাহ গ্রেপ্তার হওয়ার পর জাওয়াদ আত্মহত্যা করেছেন। বেঞ্চের বাকি দুজন হলেন, বিচারপতি চি মোহাম্মদ রুজিমা গাজালি ও মারিয়ানা ইয়াহইয়া। হানিফাহ বলেন, মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহকে দোষী সাব্যস্ত করে রাষ্ট্রপক্ষ যেসব তথ্যপ্রমাণ হাজির করেছেন, তা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

রায়ে বলা হয়, হোস্টেল ওয়ার্ডেন শাজেরীন কামারুদ্দিনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে রায় দিয়েছেন নিম্ন আদালতের বিচারক। ওয়ার্ডেন বলেছিলেন, তার কাছে অভিযোগ স্বীকার করেছিলেন হাবিবুল। আর ওই সাক্ষ্য মামলার প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা আইনগতভাবে নিম্ন আদালতের বিচারকের ভুল ছিল।

আপিল বেঞ্চের বিচারক বলেছেন, ওয়ার্ডেনের জবানবন্দি মোটেও গ্রহণযোগ্য ছিল না, কারণ তাকে সঠিক প্রশ্নগুলোই বিচারক করেননি। হাবিবুলকে ১৯৫২ সালের বিপজ্জনক মাদক আইনের ৩৯(বি)(১) ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল। এই ধারায় কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তার শাস্তি হয় মৃত্যুদণ্ড।

আসামিপক্ষের আইনজীবী হিস্যাম তেহ পোহ তেইক মামলার শুনানিতে যুক্তি দিয়েছিলেন, ওয়ার্ডেন শাজেরীন কামারুদ্দিন যে সাক্ষ্য দিয়েছেন, তা রাষ্ট্রপক্ষের অন্য সাক্ষীদের সাথে মেলে না।

এসএইচ-২৮/২৬/২১ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)