অং সান সু চির কারাদণ্ড

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে সেদেশের একটি আদালত।

উস্কানি দেয়া এবং একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ আইন ভঙ্গের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাকে এই সাজা দেয়া হয়েছে।

সু চির বিরুদ্ধে ১১টি মামলা রয়েছে। সবগুলোতে দোষী সাব্যস্ত হলে তার একশো বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে।

এই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সামরিক বাহিনীর হাতে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে ৭৬ বছর বয়সী অং সান সু চি মিয়ানমারের নির্বাচিত বেসামরিক সরকারের নেতৃত্বে ছিলেন।

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই তাকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে এবং অনেকগুলো মামলা করা হয়েছে।

এসব মামলার মধ্যে রয়েছে দুর্নীতি, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন ভঙ্গ এবং সহিংসতায় উস্কানি দেয়ার মতো অভিযোগ।

এরপর থেকে আদালতে উপস্থিতির সময় ছাড়া তার সম্পর্কে খুব কমই জানা বা দেখা গেছে।

৭৬ বছর বয়সি এই নেত্রী বিভিন্ন ধরণের দুর্নীতি এবং অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ভঙ্গ করাসহ নানা ধরণের অভিযোগ রয়েছে।

গনতন্ত্রপন্থী একটা গ্রুপ ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভার্নমেন্ট’ যারা এই অভ্যুত্থানের বিপক্ষে রয়েছে তাদের একজন মুখপাত্র আগেই বিবিসি কে বলেছিলেন মিজ সু চি লড়াই করছেন।

“তিনি ভালো নেই। সেনাবাহিনী তার জন্য ১০৪ বছরের জেলে রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা চাচ্ছে তিনি যেন জেলখানায় মারা যান” বলেন ড.সাসা।

গতবছরে দেশটিতে যে সাধারণ নির্বাচন হয়েছিল সেখানে ভোট জালিয়াতি হয়েছে এমন অভিযোগ এনে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে। সেই নির্বাচনে সু চির এনএলডি পার্টি বিপুল ভোটে জয় লাভ করে।

তবে নিরপেক্ষ নির্বাজন পর্যবেক্ষকরা বলেছিলেন নির্বাচনের বৃহৎ অংশ স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ ছিল।

মিয়ানমারের এই অভ্যুত্থান সারাদেশে বিক্ষোভের জন্ম দেয়। এবং মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গনতন্ত্রপন্থী,, আন্দোলনকারী, এবং সাংবাদিকদের উপর ধর-পাকড় চালায়।

পর্যবেক্ষক সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার বলছে, জান্তা সরকার ক্ষমতা দখলের পর ফেব্রয়ারী থেকে বিক্ষোভে ১৩শোর বেশি মানুষ মারা গেছে।

আর যে ১০ হাজার ছয়শ’র বেশি মানুষকে গ্রেফতার করেচে মিজ সু চি তাদের মধ্যে অন্যতম।

এসএইচ-০২/০৬/২১ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)