ওমিক্রনে শুধু যুক্তরাজ্যেই মারা যেতে পারে ৭৫ হাজার মানুষ

বিশ্বজুড়ে এখন আতংকের এক নতুন নাম করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া অতিসংক্রামক এই ধরনে আক্রান্ত হয়ে আগামী ৫ মাসে ইংল্যান্ডে ২৫ হাজার থেকে ৭৫ হাজার মানুষের প্রাণহানি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা।

তারা বলছেন, এখনই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা না হলে আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে দেশটিতে বিপুল সংখ্যক এই প্রাণহানি হতে পারে। গত শনিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের (এলএসএইচটিএম) বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়ে বলছেন, চলতি মাসের শেষের দিক থেকেই করোনা আক্রান্তদের সংক্রমিত হওয়ার প্রধান ধরন হয়ে উঠতে পারে ওমিক্রন। আর এতে করে জানুয়ারিতে বেশ বড় সংক্রমণের ঢেউ দেখা দিতে পারে যুক্তরাজ্যজুড়ে।

বিজ্ঞানীদের মতে, সবচেয়ে আশাব্যাঞ্জক পরিস্থিতির কথা মাথায় রাখলেও ওমিক্রনের কারণে সংক্রমণ চূড়ায় উঠলে দৈনিক হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। এই হিসেবে ১ ডিসেম্বর থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কম করে হলেও হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ছাড়াতে পারে পৌনে দুই লাখ এবং প্রাণহানি হতে পারে ২৪ হাজার ৭০০।

অন্যদিকে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির ক্ষেত্রে এই গবেষণা অনুসারে, আগামী এপ্রিলের শেষের মধ্যে ভাইরাস আক্রান্ত প্রায় পাঁচ লাখ মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হতে পারে। দৈনিক হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের সর্বাধিক সংখ্যার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইতোমধ্যেই বলেছেন, করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়েও সংক্রামক হতে পারে ওমিক্রন। আর তাই এখন থেকেই সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে দেশটি।

এসএইচ-০৬/১৩/২১ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)