কলকাতার হোটেলে পুড়ে অঙ্গার বাংলাদেশি নারী

কলকাতার ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের একটি আবাসিক হোটেলে আগুনে ঝলসে মৃত্যু হলো এক বাংলাদেশি নাগরিকের। এ ছাড়া ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও দুজন।

ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, শনিবার ভোরে আগুন দেখা যায় ৫ নম্বর মির্জা গালিব স্ট্রিটের (ফ্রি স্কুল স্ট্রিট) একটি আবাসিক হোটেলে। হোটেলের দোতলা থেকে দ্রুত এ আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে।

আবাসিক হোটেলের এক কর্মী জানান, রিসেপশনে এ আগুন লাগে। পরে তা ছড়িয়ে যায় অন্য ঘরগুলোতে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারদিক। একে একে অন্তত ১০ থেকে ১২টি ঘর পুড়ে যায়। ওই ঘরগুলোতে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন। তাদের সবাইকে সরিয়ে আনা হয়। উদ্ধার করা হয় ১৬ জনকে। ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন। কিন্তু এক বৃদ্ধাকে প্রথমে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে ৬০ বছরের ওই বৃদ্ধার দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়।

জানা গেছে, মৃত নারীর নাম সামিমাতুল আরস। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। বছর পঁয়ত্রিশের মইনুল হক নামে আরও এক বাংলাদেশি নাগরিককে অসুস্থ অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ছাড়াও মেহাতাব আলম নামে মুর্শিদাবাদের এক বাসিন্দাকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দমকল বাহিনীর বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুন লাগে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে দিল্লির গোকালপুরীতে শুক্রবার রাতে একটি বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দিল্লি ফায়ার সার্ভিস বিভাগের বরাতে শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায় এবং তাদরে কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে ঘটনাস্থল থেকে সাতজনের দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

দিল্লির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর-পূর্ব) দেবেশ কুমার মাহলা জানান, রাত ১টার দিকে আগুনের খবর পাওয়া যায়। এরপর পুলিশ ও দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আমরা ফায়ার সার্ভিস বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর তারা দ্রুত সাড়া দিয়েছে। প্রায় ৩ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে ৬০টি কুঁড়েঘর পুড়ে গেছে বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা দেবেশ কুমার।

এসএইচ-০১/১২/২২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)