ইউক্রেনের প্রস্তাবে রাজি রাশিয়া

চলমান ইউক্রেন অভিযানে রাজধানী কিয়েভ এবং এর উত্তরাঞ্চলীয় শহর চেরনিহিভে সেনা অভিযানের তীব্রতা কমানোর জন্য একমত হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় বসে এ সিদ্ধান্ত নেয় মস্কো-কিয়েভ।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের খবরে বলা হয়, এক মাসের বেশি সময় ধরা চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে এখন পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে বড় অগ্রগতি।

রাশিয়ার উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেক্সান্দার ফোমিন বলেন, সংকট সমাধানে চলমান আলোচনায় আস্থা তৈরি এবং পরবর্তী সমঝোতার পথ তৈরির জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা জানান, রাশিয়ার দাবি অনুযায়ী জোট নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে অবস্থান গ্রহণ করতে তারা রাজি আছেন তবে সেক্ষেত্রে ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে।

জোট নিরপেক্ষ অবস্থানের অর্থ হচ্ছে- ইউক্রেন ন্যাটো বা রাশিয়াবিরোধী কোনো সামরিক জোটে যোগ দেবে না এবং রাশিয়ার বন্ধু নয়, ইউক্রেনে এমন কোনো দেশের সামরিক ঘাঁটি স্থাপন বা অস্ত্র মোতায়েনের অনুমোদন দেবে না।

এছাড়া ২০১৪ সালে হাতছাড়া হয়ে যাওয়া ক্রিমিয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত কী হবে সে বিষয়ে আলোচনার জন্য ১৫ বছরের সময় চায় দেশটি।

খবরে বলা হয়, এদিন বৈঠক শুরুর আগে উভয় পক্ষকেই বেশ শীতল মনে হয়েছে। এমনকি বৈঠকের আগে কোনো ধরনের করমর্দনও করেননি উভয় দেশের প্রতিনিধিরা।

তবে দুই দেশের আলোচনাকে স্বাগত জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট তাইয়্যেপ এরদোয়ান। এ সময় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান তিনি।

রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেন, সবার শান্তির জন্যই দ্রুত কার্যকরি যুদ্ধবিরতিতে যাওয়া প্রয়োজন। পুরো বিশ্ব আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে। শান্তি প্রতিষ্ঠায় যেকোনো ধরণের সহযোগিতার জন্য আমরা প্রস্তুত।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার বেলারুশ সীমান্তে আলোচনায় বসে দুই দেশের প্রতিনিধিদল। এরপর যুদ্ধ বন্ধে দফায় দফায় চলে আলোচনা। চলতি মাসেই তুরস্কেও বৈঠক করেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। যদিও তাতে কোনো সমাধান আসেনি।

এদিকে, শান্তি চুক্তির বিষয়ে ইস্তাম্বুলে বৈঠক হলেও সংঘাত বন্ধে পশ্চিমা দেশগুলোর কোনো মধ্যস্থতা মেনে নেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। সংঘাত বন্ধে তুরস্কের উদ্যোগকে স্বাগতও জানান তিনি|

এসএইচ-২৯/২৯/২২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)