ফরাসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোট চলছে

দ্বিতীয় দফার ফরাসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিতে যাচ্ছেন ফরাসি নাগরিকেরা। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আরও পাঁচ বছর থেকে যাবেন, নাকি উগ্রডানপন্থী প্রতিদ্বন্দ্বী মারিন ল্য পেন তার স্থলাভিষিক্ত হবেন—ভোটারররা রোববার সেই রায় দিচ্ছেন।

ভোটের লড়াইয়ে ল্য পেনের চেয়ে ৪৪ বছর বয়সী ম্যাক্রোঁ এগিয়ে আছেন। নির্বাচনী প্রচারে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের কাছে টানতে চেষ্টা করছেন তারা। প্রথম দফায় পিছিয়ে পড়া প্রার্থীরাও তাদের হয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।-খবর বিবিসি ও আরটির

ম্যাক্রোঁ ও ল্য পেনকে ঘিরে ফরাসি জনগণের মধ্যে ব্যাপক মেরুকরণ হয়েছে। ভোটবর্জনও এ নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটকের ভূমিকা রাখছে। নিন্দুকেরা ম্যাক্রোঁকে উদ্ধত ও বিত্তশালীদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডাকেন।

আর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় উগ্র মতাদর্শী ল্য পেনকে নিয়েও ফরাসি রাজনীতিতে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে।

চার কোটি ৪৭ লাখ নাগরিক এবারের নির্বাচনে ভোট দিতে পারছেন। কিন্তু মধ্যদিনে ভোটারদের উপস্থিতি আগের নির্বাচনের তুলনায় অনেক কম ছিল। এ সময়ে মাত্র ২৬ দশমিক চার শতাংশ ভোটার কেন্দ্রে এসেছেন। কিন্তু সপ্তাহ দুয়েক আগে প্রথম দফার নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল আরও কম।

দুই প্রার্থীর মধ্যে প্রথমে ভোট দিয়েছেন ল্য পেন। তার শক্তঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হেনিন-বিউমন্টের ভোটকেন্দ্রে এসে একটি শিশুকে রোদ থেকে আশ্রয় দিয়ে বলেন, আমি তোমাকে রক্ষা করব।

এরপর ল্য টোকোয়েটিতে ভোট দিতে দেখা গেছে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁকে। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী। আগের নির্বাচনে পরিবর্তনের অঙ্গীকার করে বহু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। কিন্তু অনেকের দাবি, সেসব প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন ম্যাক্রোঁ।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার শাসনকালে দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। করোনা মহামারির আঘাতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির ঝক্কিও সইতে হয়েছে ইউরোপীয় দেশটির নাগরিকদের।

মেরিন ল্য পেনও তার আগের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। ২০১৭ সালের নির্বাচনে ম্যাক্রোঁর কাছে বড় ব্যবধানে হেরে গিয়েছিলেন তিনি। তৃতীয় বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তিনি। এবার যদি তিনি হেরে যান, তবে এটিই হবে তার শেষ নির্বাচন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এবারের নির্বাচনে প্রচারের সময় খুবই কম ছিল। কিন্তু ভোটারদের পছন্দ একেবারে পরিষ্কার। হয় তাদের একজন ইউরোপপন্থী প্রেসিডেন্টকে বেছে নিতে হবে, নতুবা একজন অতি জাতীয়তাবাদীর পক্ষে রায় দিতে হবে। নারীদের হিজাব নিষিদ্ধ ও অভিবাসীদের বিধিনিষেধ আরোপ করতে চান ল্য পেন।

এসএইচ-২২/২৪/২২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)