পদত্যাগপত্রে যা লিখেছিলেন গোতাবায়া রাজাপাকসে

গণঅভ্যুত্থান থেকে বাঁচতে গেল সপ্তাহে বিদেশে পালিয়ে যান শ্রীলঙ্কার সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। এরপর গত বুধবার ই-মেইলের মাধ্যমে দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকারের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি। কী লেখা ছিল সেই চিঠিতে? শনিবার দেশটির পার্লামেন্টের এক বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে গোতাবায়ার পদত্যাগপত্রের বিষয়বস্তু।

শুক্রবার রাজাপাকসের পদত্যাগপত্র সংসদে গৃহীত হয়। এর প্রায় এক সপ্তাহ আগে সরকারবিরোধী হাজার হাজার বিক্ষোভকারী গোতাবায়ার সরকারি বাসভবন ও অফিস দখল করার পর প্রথমে তিনি মালদ্বীপে এবং পরে সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যান।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, কিছুটা স্বস্তি হয়ে জ্বালানির একটি চালান শ্রীলঙ্কায় পৌঁছেছে। এর পরপরই নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য শনিবার (১৬ জুলাই) বৈঠকে বসে শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট। বৈঠক চলাকালীন শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের মহাসচিব ধাম্মিকা দেশনায়কে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজাপাকসের পদত্যাগপত্র পড়ে শোনান, যার বিষয়বস্তু আগে অপ্রকাশিত ছিল। এদিন দেশের প্রেসিডেন্ট পদটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে শূন্য পদও ঘোষণা করেন তিনি।

রাজাপাকসে তার চিঠিতে দাবি করেন, শ্রীলঙ্কার আর্থিক সঙ্কটের মূলে ছিল দীর্ঘ কয়েক বছরের অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা। যা তার ক্ষমতায় আসার আগেই শুরু হয়। এছাড়া করোনা মহামারির কারণে পর্যটন খাতে ধস এবং রেমিট্যান্স ব্যাপকভাবে কমে যাওয়া শ্রীলঙ্কার বতর্মান দুরবস্থার জন্য দায়ী।

রাজাপাকসে তার পদত্যাগপত্রে লেখেন, ‘সর্বদলীয় বা ঐক্য সরকার গঠনের জন্য সংসদ সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানোসহ এ সংকট মোকাবিলায় আমি সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নিয়েছি বলে আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস।’

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন গ্রহণের জন্য মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) পার্লামেন্ট বৈঠক হবে। আর বুধবার দেশটির নেতা নির্ধারণের জন্য ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সে পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেশটির ছয় বারের প্রধানমন্ত্রী, রাজাপাকসের মিত্র এবং সংসদে তার দলের একমাত্র প্রতিনিধি রনিল বিক্রমাসিংহে।

এসএইচ-০৯/১৬/২২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)