শ্রীলঙ্কার জনগণের অধিকার সমুন্নত রাখতে জোর দিচ্ছে ইইউ

শ্রীলঙ্কায় জনগণের অধিকার সমুন্নত রাখতে জোর পদক্ষেপ নিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। দেশটির নাগরিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও অধিকার সমুন্নত রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে সংস্থাটি। খবর কলম্বো পেইজ।

শ্রীলঙ্কার অব্যাহত আন্দোলনে জনগণের অধিকার সমুন্নত রাখতে এবার পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক নাজেহাল অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে আন্দোলনে নামে দেশটির জনগণ। গণ আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। এর পর নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন বিক্রমাসিংহে। এর পরও আন্দোলন অব্যাহত থাকে।

অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েই কঠোর হাতে আন্দোলন দমনে সক্রিয় হলেন রনিল বিক্রমাসিংহে। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাতে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন তিনি। এর কয়েক ঘণ্টা পরই কলম্বোয় আন্দোলনকারীদের ক্যাম্পে অভিযান চালায় শ্রীলঙ্কার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, অভিযানকালে আটক করা হয়েছে অনেককে। ঘটেছে হতাহতের ঘটনাও। এই আন্দোলনের জেরে জনগণের অধিকার যাতে সমুন্নত থাকে সে জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

কিন্তু গোতাবায়ার ঘনিষ্ঠ হওয়ায় রনিল বিক্রমাসিংহের ওপর ক্ষুব্ধ শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ। বিক্রমাসিংহের শাসন থেকেও মুক্তি চান তারা। রনিল প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ায় কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন বিক্ষোভকারীরা।

শ্রীলঙ্কায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের পদক্ষেপের বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। একইসঙ্গে শ্রীলঙ্কার নতুন সরকারকে তাদের জিএসপি সুবিধার প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণে কাজ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

প্রকাশিত বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আশা করে, শ্রীলঙ্কা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তার নাগরিকদের মতামত স্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত অধিকার রক্ষা করবে। বিগত দিনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে যে শক্তি প্রদর্শন করা হয়েছে তা অযৌক্তিক। আমরা তার নিন্দা জানাই।

বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অপ্রয়োজনীয় সহিংসতার প্রতিবেদনের আলোকে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও স্বাধীনতার অধিকারের গুরুত্বের ওপরও জোর দিয়েছে ইইউ।

কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে ২০ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়েছে শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। নতুন নেতা নির্বাচিত করতে একে একে ভোট দেন পার্লামেন্টের ২১৯ আইনপ্রণেতা। এছাড়াও অনুপস্থিত ছিলেন দুজন। বাতিল হয় আরও চারটি ভোট।

দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ছয়বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। তার পক্ষে ভোট পড়ে ১৩৪টি। অপরদিকে প্রধান বিরোধী দল সমর্থিত প্রার্থী দুলাস আলাহাপেরুমা পান ৮২ ভোট। এছাড়াও তৃতীয় প্রার্থী অনুঢ়া দেশনায়েকে পান মাত্র তিন ভোট।

এসএইচ-১৪/২৩/২২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)