জিও নিউজের ওপর ক্ষুব্ধ ইমরান খান, করবেন মামলা

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের ওপর ক্ষেপেছেন দেশটির তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ‘ভিত্তিহীন খবর’ প্রকাশ করার অভিযোগে সংবাদমাধ্যমটির বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার এক টুইটার বার্তায় ইমরান খান জিও নিউজের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। খান বলেন, তিনি শিগগিরই জিও নিউজ ও এর উপস্থাপক শাহজেব খানজাদা ও দুবাইভিত্তিক পাক ব্যবসায়ী ওমর ফারুক জহুরের বিরুদ্ধে মামলা করবেন।

টুইটার বার্তায় ইমরান খান বলেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে, আর নয়। গতকাল আবারও জিও ও এর খানজাদা ভিত্তিহীন গল্প ফেঁদে আমাকে ছোট করার চেষ্টা করেছে। যার পেছনে রয়েছে কুখ্যাত জালিয়াত ও আন্তর্জাতিকভাবে ‘ওয়ান্টেড’ ঘোষিত অপরাধী। এদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে আমি আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি।’

এর আগে মঙ্গলবার জিও টিভিতে একটি সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়। খানজাদা উপস্থাপিত ওই সাক্ষাৎকারে ইমরান খানের তোশাখানা মামলার ইস্যুটি ফের সামনে আনেন ব্যবসায়ী ওমর ফারুক জহুর। তিনি দাবি করেন, ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবির এক বান্ধবীর কাছ থেকে কয়েক কোটি রুপি দিয়ে একটি হাতঘড়ি কিনেছেন তিনি।

পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় তোশাখানা পরিচালনা করে দেশটির মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। অন্যান্য দেশের সরকার ও রাজ্যের প্রধান, সংসদ সদস্য, আমলা, কর্মকর্তাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দেয়া মূল্যবান উপহার তোশাখানায় সংরক্ষণ করা হয়। নিয়ম অনুসারে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পাওয়া উপহার বা এ জাতীয় অন্য উপকরণের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে রিপোর্ট করা বাধ্যতামূলক।

অভিযোগ উঠেছে, পিটিআই সরকারে থাকাকালে ইমরান খানের পাওয়া উপহারের যথাযথ বিবরণ প্রকাশ করেনি। এমনকি এ বিষয়ে পাকিস্তান তথ্য কমিশনের (পিআইসি) নির্দেশও উপেক্ষা করেছিল তারা। পরে, গত ৮ সেপ্টেম্বর ইসিপি’তে জমা দেয়া লিখিত জবাবে ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তার পাওয়া কমপক্ষে চারটি উপহার বিক্রি করার কথা স্বীকার করেন।

পাকিস্তানের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ২ কোটি ১৫ লাখ রুপি দেয়ার পরে যে উপহারগুলো সংগ্রহ করেছিলেন, সেগুলো বিক্রি করে ৫ কোটি ৮০ লাখ রুপি পেয়েছেন।

এসব উপহারের মধ্যে একটি গ্রাফ হাতঘড়ি, এক জোড়া কাফ লিংক, একটি দামি কলম, একটি আংটি এবং চারটি রোলেক্স ঘড়ি ছিল। রাষ্ট্রীয় কোষাগারে উপহার জমাদান সংক্রান্ত মামলায় গত মাসে ইমরান খানের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করে রায় দেয় পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন (পিইসি)।

এসএইচ-১০/১৬/২২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)