মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ফাঁস, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল এফবিআই

যুক্তরাষ্ট্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গোপনীয় গোয়েন্দা নথি ফাঁস হয়েছে। ফাঁস হওয়া এসব নথিতে চলমান ইউক্রেন যুদ্ধসহ গুরুত্বপূর্ণ বহু তথ্য রয়েছে। আর এই তথ্য ফাঁসের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস থেকে ২১ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এয়ারফোর্সে কর্মরত। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার তার বাড়ি থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) তাকে গ্রেপ্তার করে।

তার আগে অভিযুক্তের বাড়িতে রীতিমতো তল্লাশি চালানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রচুর অস্ত্র নিয়ে এফবিআই এজেন্টরা প্রথম বাড়িটি ঘিরে ফেলে, এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শর্টস আর টি-শার্ট পরে ওই ব্যক্তিকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড কিছুক্ষণের মধ্যেই এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম জ্যাক টেইসেইরা। তিনি সম্প্রতি ইউক্রেন যুদ্ধ সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য ফাঁস করে দেন। সেই অভিযোগেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ধরনের তথ্য ফাঁস করা গর্হিত অপরাধ বলেও জানিয়েছেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল।

সূত্র জানাচ্ছে, একটি কম পরিচিত সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটে ছদ্মনামে উপস্থিত ছিলেন জ্যাক। সেখানে তার নাম ছিল ওজি। ওই গ্রুপেই এক ব্যক্তির কাছে বেশ কিছু তথ্য ফাঁস করেন তিনি।

সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ পাতার তথ্য তিনি ফাঁস করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। এর আগেও ওই গ্রুপে তিনি তথ্য ফাঁস করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

জ্যাকের ফাঁস করা তথ্য নিয়ে ইতোমধ্যেই খবর প্রকাশ করেছে মার্কিন এবং বিশ্বের বহু মিডিয়া। ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী কতটা এগোতে পেরেছে, তাদের আর কী কী সাহায্য প্রয়োজন এই ধরনের তথ্য যেমন আছে, তেমনই ওই ডকুমেন্টে লেখা আছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঠিক কোন সময় পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন।

ইউক্রেন যুদ্ধ সংক্রান্ত আরও বেশ কিছু তথ্য ফাঁস হয়েছে বলেও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

কেন এই তথ্য এয়ারফোর্সে কর্মরত জ্যাক ফাঁস করলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এফবিআই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। এয়ারফোর্সের কোন উইংয়ে কী পদে তিনি কাজ করেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

তবে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কিছু গ্রুপের সদস্য এই জ্যাক। ওই সমস্ত গ্রুপে বন্দুক, বর্ণবাদ নিয়ে আলোচনা হয়। আরও একটি প্রশ্ন মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো তুলেছে। কার কাছে এই সমস্ত তথ্য ফাঁস করেছিলেন জ্যাক। প্রশাসন অবশ্য এখনও তার নাম প্রকাশ্যে আনেনি।

এসএ-০৭/১৪/০৪ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)