ড. ইউনূস ইস্যুতে ভুল তথ্য পাচ্ছে জাতিসংঘ, দ্বৈতনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র

ড. ইউনূসের শ্রমিক ঠকানোর বিষয়টি সামনে না এনে, তার বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে জাতিসংঘে কেউ ভুল তথ্য দিচ্ছে। যার ভিত্তিতে সংস্থাটির মানবাধিকার কমিশন উদ্বেগ জানিয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, একজন ব্যক্তির আইন অনুযায়ী বিচার নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলছেন তারা রোহিঙ্গা ইস্যু কিংবা সাধারণ মানুষের অধিকার কখনও উদ্বেগ জানান না। এই দ্বৈতনীতি প্রমাণ করে মানবাধিকার নয়, ব্যক্তিগত পরিচয়কেই গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা।

শ্রমিক ঠকানোর মামলা যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তখন বিচারিক প্রক্রিয়া থেকে নিজেকে বাঁচাতে সামনে নিয়ে এলেন জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনকে।

মঙ্গলবার ব্রিফিংয়ে ইউনূসকে বিচারিক হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সংস্থাটির মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি। অধ্যাপক ইউনূসকে বিচারিক হয়রানি করা হচ্ছে বলে দাবি সংস্থাটির।

জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের এমন বক্তব্যের পর উঠছে নানা প্রশ্ন। ইউনূসের পক্ষ নিতে গিয়ে কি তবে শ্রমিক অধিকার ঠুনকো হয়ে গেল জাতিসংঘ মানবাধিকারের কাছে? যে ১৮ জন শ্রমিক পাওনা টাকার দাবিতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের অধিকার আইনি প্রতিকার পাওয়া নয়, বরং আন্তর্জাতিক পরিচিতি ও প্রভাবের কারণে ইউনূসের স্বার্থরক্ষাই জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের কাছে মুখ্য হয়ে গেল কি না, সেই প্রশ্ন তুলছেন বিশ্লেষকরা।

সাবেক কূটনীতিক ড. ওয়ালিউর রহমান বলছেন, জাতিসংঘ মানে এখানে যুক্তরাষ্ট্র, আর কেউ নেই। যে মামলাটি ড. ইউনূস টাকা দিয়ে ধামাচাপা দিতে চেয়েছিলেন, সেই মামলার বিষয়ে বিদেশিদের এমন মন্তব্য দুঃখজনক। আর হয়রানির যে অভিযোগ ইউনূস তুলেছেন, সেটিকেও উড়িয়ে দিয়ে ওয়ালিউর রহমান বলেন, তাকে কোনো হয়রানি করা হচ্ছে না, এই হয়রানি তিনি তার ওপর নিজেই নিয়ে এসেছেন।

অর্থ খচর করে বিদেশি ভাড়াটে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এভাবেই নিজের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন ড. ইউনূস।

বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ নানা ক্ষেত্রেও জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অবস্থান ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। এবার ইউনূস প্রসঙ্গে সংস্থাটির ভূমিকা বিচারপ্রক্রিয়া প্রভাবিত করার শামিল।

এর আগে ভাড়াটে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শতাধিক নোবেলজয়ীসহ ১৮৩ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির বিবৃতি জোগার করেন ড. ইউনূস। আর এ ক্ষেত্রে ২ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছেন বলে অভিযোগ আছে।

শুধু এসবেই থেমে নেই ইউনূসের তৎপরতা। নিউইয়র্ক টাইমসের পৃষ্ঠাজুড়ে বিজ্ঞাপন ছাপানো হয় ড. ইউনূসের পক্ষে। এর আগে গেল মার্চে নিজের পক্ষে বিজ্ঞাপন ছাপিয়েছিলেন ওয়াশিংটন পোস্টেও।

এসএইচ-১৩/০৬/২৩ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)