মেয়রের বাড়িতে আগুন দিল ক্ষুব্ধ জনতা

ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের আঘাতে বাঁধ ভেঙে সৃষ্ট বন্যায় লিবিয়ায় ১১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এখনও নিখোঁজ অন্তত ১০ হাজার। এমন পরিস্থিতির জন্য কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ দেশটির জনগণের। এর জেরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেরনা শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। এমনকি শহরটির বহিষ্কৃত মেয়রের বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় মেয়র ও পৌর কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও গাফিলতির কারণে এত মানুষের প্রাণ গেছে বলে সাধারণ মানুষের অভিযোগ। ভয়াবহ বন্যার এক সপ্তাহ পর গতকাল গতকাল সোমবার শহরটির বহিষ্কৃত মেয়র আব্দুলমেনাম আল-গাইতির বাড়ির সামনে জড়ো হন সাধারণ মানুষ। দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবিতে স্লোগান দেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, বাঁধ দুটি সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হলে এতো মানুষের মৃত্যু হতো না।

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সরকারের মন্ত্রী হিকেম আবু চাকিওয়াত জানান, মেয়র আব্দুলমেনাম আল-গাইতিকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে গাইতির মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানায়, পূর্ব লিবিয়ার স্বঘোষিত সরকারের পার্লামেন্ট প্রধান আগুইলা সালেহর বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভকারীরা দেরনার সাহাবা মসজিদের সামনে জড়ো হন। এ সময় তাঁরা একক ও কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে দেশ পরিচালনার দাবি জানান। বর্তমানে পশ্চিমাঞ্চলে একটি ও পূর্বাঞ্চলে অপর একটি স্বঘোষিত সরকার লিবিয়াকে শাসন করছে।

এদিকে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটাতে কয়েক কোটি ডলার সহায়তা লাগবে বলে জানিয়েছে লিবিয়া কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে বেশকিছু দেশ। বড় অঙ্কে জরুরি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

এসএইচ-০৮/১৯/২৩ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)