সব জ্বালানি ফুরিয়ে গেছে গাজার এক হাসপাতালের

ইসরায়েলের হামলায় বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার একটি হাসপাতাল এখন পুরোপুরি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।

টানা কদিন ধরে জ্বালানি ব্যবহার করে বিকল্প ব্যবস্থা করা গেলেও এই জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে এখন বিদ্যুতের কোনো ব্যবস্থা নেই বলে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে হামাস।

গাজার শাসক দল হামাস বলছে, জ্বালানি ফুরিয়ে গেছে। কোনো বিদ্যুৎ নেই এই হাসপাতালে। এটা মানবিকতার বিরুদ্ধে অপরাধ।

জাতিসংঘ এবং মুসলিম বিশ্বকে এ ব্যাপারে দ্রুত পদপেক্ষপ নিয়ে ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল নামের হাসপাতালটিতে জ্বালানি পাঠানোর ব্যবস্থার আহ্বান জানিয়েছে হামাস।

ইসরায়েলে ঢুকে হামাস গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ পর্যন্ত সাড়ে চার হাজারের বেশি মানুষ গাজায় নিহত হয়েছে। নিহতদের প্রায় দুই হাজারই শিশু। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিজয় না আসা পর্যন্ত গাজায় হামলা চালাবে তারা।

টানা হামলার শিকার গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ ও জ্বালানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় সম্প্রতি মিশরের রাফা ক্রসিং দিয়ে কয়েকটি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকেছে ওই উপত্যকতায়। তবে জ্বালানি প্রবেশে ইসরায়েল অনুমতি না দেয়ায় এ নিয়ে ভয়াবহ বিপর্যস্ত অবস্থায় আছে গাজা।

জাতিসংঘের মানবিক সম্পর্ক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি মার্টিন গ্রিফিথস বলেছেন, দ্বিতীয় দফায় ত্রাণবাহী ১৪টি ট্রাকের একটি বহর গাজায় প্রবেশ করার ব্যাপারটি ছোট একটি আশার আলো।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনা করার পর জানিয়েছেন, তারা দুজনই একমত হয়েছেন, ফিলিস্তিনিদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই ত্রাণের সরবরাহ এখন থেকে চলমান থাকবে।

অক্সফামের মানবিক সহায়তা বিষয়ক প্রধান ম্যাগনাস করফিক্সেন বলেন, প্রতিদিন কয়েকটি ট্রাককে ঢুকতে দেয়াটা মোটেই পর্যাপ্ত নয়।

তবে ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইতামার বেন-গিভির বলেন, হামাস যদি তাদের হাতে আটক সব জিম্মিদের মুক্তি দিতে রাজি না হয়, তাহলে ওই এলাকায় ত্রাণ সরবরাহ চলমান রাখার কোনো নিশ্চয়তা দেয়া যাবে না।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি এবং ইতালির নেতারা ইসরায়েলের “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নিজের প্রতিরক্ষার অধিকারকে” সমর্থন জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তারা “আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলারও” আহ্বান জানিয়েছেন।

অন্যদিকে ইরান প্রকাশ্যেই সমর্থন জানিয়েছে হামাসের প্রতি। দেশটি মুসলিম বিশ্বকে তাদের জন্য এগিয়ে আসতে বলেছে।

এসএইচ-১০/২৪/২৩ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)