যুদ্ধে অংশগ্রহণের ভয়ে সাঁতরে পালাচ্ছে ইউক্রেনীয় যুবকরা

ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর অনেকেই দেশ সেবায় উজ্জিবিত হয়ে রাশিয়ান সেনাবাহিনীর বিপক্ষে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরছিল। তবে যারা এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে চায়নি, তাদের কি পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি শুক্রবার এক বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

যুদ্ধ শুরুর পরই ১৮ থেকে ৬০ বয়সীদের দেশ ত্যাগে বিধিনিষেধ জাড়ি করে ইউক্রেন সরকার। ফলে যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করতে চাওয়া ইউক্রেনীয় যুবকরা সাঁতরে সমুদ্র পাড়ি, হেঁটে হেঁটে পালিয়ে বা মিথ্যা অজুহাতে দেশ ত্যাগের চেষ্টা করেন। কিছু কিছু সফল হলেও , অনেককেই মৃত্যুর মুখে পড়তে হয়।

এখন পর্যন্ত ২১ হাজারের অধিক ইউক্রেনীয় পালানোর চেষ্টা করে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের হাতে ধরা পড়েছিল। আর, ২০২২ এর ফেব্রুয়ারি থেকে ৩১ আগস্ট ২০২৩ সালের মধ্যে প্রায় ২০ হাজার জন পুরুষ অবৈধভাবে প্রতিবেশী রোমানিয়া, মলদোভা, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি এবং স্লোভাকিয়া থেকে অবৈধ সীমান্ত ক্রসিংয়ের তথ্য সংগ্রহ করেছে বিবিসি।

তবে ইউক্রেন সরকারের এক প্রতিনিধি ফেদির ভেনিস্লাভস্কি জানিয়েছে, যারা পালিয়ে গেছে বা যেতে চাচ্ছে তাদের সংখ্যা খুবই নগণ্য। এই সংখ্যা যুদ্ধে কোন প্রভাব ফেলেনি। তিনি বলেন, “আমি নিশ্চিত যে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতা রক্ষার জন্য ৯৯ শতাংশ ইউক্রেনীয় তাদের জীবন দিতে প্রস্তুত”।

ইউক্রেন থেকে পালিয়ে যাওয়ার বেশ কিছু ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। তেমনি একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি ডিনিস্টার নদী পেরিয়ে মলদভার দিকে সাঁতারে পার হচ্ছে। ইউক্রেনের আশেপাশের বিভিন্ন দেশের সীমান্ত বাহিনী জানায়, প্রায়ই সাঁতরে পার হওয়ার সময় অনেকেই ডুবে মারা যায়।

এসএইচ-১০/১৭/২৩ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)