এবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের বেতন না নেওয়ার ঘোষণা

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ও তার মন্ত্রীসভার সদস্যরা সরকারি বেতন নেবেন না। মূলত দেশের আর্থিক সংকটের কথা চিন্তা করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। বুধবার (২০ মার্চ) সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেয় পাক মন্ত্রীসভা।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর জানিয়েছে, সরকারের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বন্ধ করার অংশ হিসেবেও এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ইতিমধ্যে পাকিস্তানে সরকারি খরচে সরকারি কর্মকর্তা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের বিদেশ ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সরকারের আগাম অনুমতি ছাড়া তাদের বিদেশ না যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আর্থিক সংকট থাকায় সরকারি সম্পদের যথার্থ ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে দেশটির সরকার। এই সংকটের কারণে পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে নতুন লোন প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভিও একই কারণে বেতন না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

পাকিস্তানের সদস্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভী প্রেসিডেন্ট হিসেবে মাসিক ৮ লাখ ৪৬ হাজার ৫৫০ রুপি বেতন নিচ্ছিলেন। ২০১৮ সালে দেশটির জাতীয় পরিষদ এই বেতন নির্ধারণ করে দেয়। বর্তমান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি দেশটির অন্যতম ধনী রাজনীতিবিদ।

অবশ্য প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের বেতন না নেওয়ার বিষয়টি প্রায় পুরোটাই হয় লোক দেখানো। সরকারি বেতন না নিয়ে তারা মূলত বোঝান যে দেশের সাধারণ মানুষের আর্থিক সংকটের ভার তারা নিজেদের কাঁধেও তুলে নিচ্ছেন।

সাধারণত তারা ধনী পরিবার থেকে ওঠে আসেন। বেতনের ওপর তারা কোনোভাবেই নির্ভরশীল নন।

সূত্র: প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া

এসএ-০৯/২০/২৪(আন্তর্জাতিক ডেস্ক)