মাথাব্যথা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে শুনলেন বাঁচবেন মাত্র ১৫ মাস

প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে মাথা ব্যথা করছে। ভেবেছেন কাজের চাপে মাথায় এমন সমস্যা হচ্ছে। যা নিজে নিজে সেরে যাবে। তবে ব্যথা না কমায় সঙ্গীনির পরামর্শে ডাক্তারের কাছে যান। আর সেখানে গিয়ে শুনতে পান জীবনের সবচেয়ে খারাপ খবর, জানতে পারেন কোনো ইঙ্গিত না দিয়েই শরীরে বাসা বেধেছে মরণব্যাধী ক্যান্সার।

এমনই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন যুক্তরাজ্যের ৩৯ বছর বয়সী রিকি স্মিথ।

গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথম মাথাব্যথা শুরু হয় স্মিথের। প্রায় দুই সপ্তাহ মাথাব্যথায় ভোগার পর তার সঙ্গীনি ক্যাটরিনা বিনফিল্ডের পরামর্শে একজন ডাক্তারের কাছে যান স্মিথ। তবে ওই ডাক্তার অস্বাভাবিক কোনো কিছু খুঁজে পাননি। তিনি স্মিথকে শুধুমাত্র বিশ্রাম ও পর্যাপ্ত পানি পানের পরামর্শ দেন।

ডাক্তারের কথা মতো চলার পরও মাথাব্যথা না যাওয়ায় তিনি চোখের ডাক্তার দেখান। ওই ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে পান স্মিথের দুই চোখের পেছনে রক্ত রয়েছে। যা ব্রেন ক্যান্সারের একটি ভয়াবহ ইঙ্গিত। এরপর জরুরিভিত্তিতে অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর ধরা পড়ে স্মিথের ব্রেন ক্যান্সার হয়েছে এবং এটি খুবই খারাপ পর্যায়ে আছে। এমনকি ডাক্তাররা তাকে বলে দিয়েছেন, তিনি হয়ত আর মাত্র ১৫ মাস বাঁচবেন।ৎ

স্মিথের সঙ্গীনি জানিয়েছেন, তিনিও কয়েকদিন অসুস্থ ছিলেন। এরপর স্মিথ অসুস্থ হন। কিন্তু তিনি সুস্থ হলেও স্মিথ সুস্থ হচ্ছিলেন না। এর বদলে সবসময় অসুস্থতার কথা বলছিলেন এবং ঘরের এক কোণায় বসে থাকছিলেন। তখন তিনি স্মিথকে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা বলেন। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন, স্মিথ হয়ত কোনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

বর্তমানে স্মিথের শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। তিনি এখন প্রায়ই অনেক কিছু ভুলে যান এবং অস্বাভাবিক হয়ে যান। আবার মাঝে মাঝে আগের মতো হন।

সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট

এসএ-০৮/২১/২৪(আন্তর্জাতিক ডেস্ক)