চুরি করে ধরা পড়ার ভয়ে কেয়ারটেকারকে হত্যা

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকায় কেয়ারটেকার হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে র‌্যাব-১০। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) ভোরে রাজধানীর রমনা থানাধীন কাকরাইল এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

র‌্যাব জানায়, ভবনে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ার ভয়ে শ্বাসরোধে কেয়ারটেকার কাউসারকে হত্যা করেন মাসুদ।

র‌্যাব-১০ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) এনায়েত কবীর সোয়েব জানান, গত ৯ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন আগানগর ইস্পাহানি ২নং রোডের আমিনুল ইসলামের বাড়ির কেয়ারটেকার মো. কাউসার খানকে (৪৭) একই মালিকের পার্শ্ববর্তী বাড়ির কেয়ারটেকার নজরুল গার্ড রুমের ফ্লোরে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। কাউসারের সাড়া শব্দ না পেয়ে তিনি পরিবারকে খবর দেন। কাউসারের ছেলে এসে দেখতে পান, তার বাবা মৃত অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে আছেন।

সংবাদ পেয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল প্রস্তুতপূর্বক মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে প্রেরণ করে।

এ ঘটনায় নিহত কাউসারের ছেলে বাদী হয়ে পরদিন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রাথমিকভাবে মৃত কাউসারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করা হয়। র‌্যাব ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে ও জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আনার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১০ এর একটি দল র‌্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) ভোরে রাজধানী ঢাকার রমনা থানাধীন কাকরাইল এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে কেয়ারটেকার হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত মো. মাসুদকে (২৪) গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে মাসুদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার মাসুদ ফরিদপুর নগরকান্দার চুকাইড়ের মো. ওহাব শেখের ছেলে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার মাসুদ কেয়ারটেকার কাউসার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছেন দাবি করে এএসপি সোয়েব বলেন, গ্রেপ্তার মাসুদ সুযোগ সন্ধানী চোর। তিনি গত ৯ জানুয়ারি রাতে ভিকটিম কাউসারের টাকা চুরির উদ্দেশ্যে রুমে প্রবেশ করে। কিন্তু কাউসার সজাগ হয়ে মাসুদকে চিনে ফেলায় তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয় এবং একপর্যায়ে আসামি মাসুদ কেয়ারটেকার কাউসারকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ সময় মাসুদ কেয়ারটেকার কাউসারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে যায়।

এআর-০৯/১২/০১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)