বিচারক যদি দোষ করে তাকেও ছেঁটে ফেলব

বিচার বিভাগ সংবিধানের শেষ রক্ষাকবজ। বার ও বেঞ্চ একে অপরের অবিচ্ছেদ্য অংশ, পরস্পরের পরিপূরক।
একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। একটি পাখির দুটি ডানার মতো। একটা না থাকলে অপরটা অকেজ। পারস্পারিক শ্রদ্ধাহীনতা পরস্পরকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। ক্ষতি হবে আদালতের, ক্ষতি হবে নিরীহ মানুষের।

দেশের বিভিন্ন স্থানে তুচ্ছ কারণে আদালত বর্জন থেকে শুরু করে ব্যক্তিগতভাবে বিচারককে আক্রমণ করা হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করতে চাই এগুলো একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এটি ধারাবাহিকভাবে ঘটতে থাকলে সাধারণ মানুষের মধ্যে সংশয় দেখা দেবে। বাড়বে বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থাহীনতা।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি চত্বরে সমিতির ১শ বছর উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।

আইনজীবী সমিতির ‘গৌরবের ১০০ বছর’ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে আদালতের সম্মান রক্ষার দায়িত্ব আইনজীবীদের। এ সম্মান আমাদের জুডিসিয়াল আদালতের, আইনজীবীদের ও সাধারণ মানুষের। নিজেদের সম্মান রক্ষার পাশাপাশি আদালতের সম্মান রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের। বিচারকের ও আইনজীবীর সম্মান একই সূত্রে গাঁথা। আপনি আদালতকে সম্মান করেন বলেই সম্মানিত হন। জেলার বিচার সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে আপনাদের নিজস্ব মতামত থাকতেই পারে। আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধানের সুযোগ রয়েছে। সুসর্ম্পক না থাকলে উদ্ভূত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ক্রমাগতভাবে বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থাহীনতা বেড়ে যাবে।

প্রধান অতিথি বলেন, বিচারকের প্রতি যদি কোনো অভিযোগ থেকে থাকে, সে অভিযোগ আমার কাছে করবেন। অভিযুক্ত বিচারক যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হয়, যেমন আঙুলে ক্যানসার হলে গোড়া থেকে ছেঁটে ফেলতে হয়, একইভাবে বিচারক যদি দোষী সাব্যস্ত হয় তাকেও ছেঁটে ফেলব।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. জবদুল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বাংলাদেশ আইন কমিশনের সদস্য বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর, জেলা ও দায়রা জজ মোহা. আদীব আলী।

এআর-০৪/২৮/০১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)