‘গোপনে’ যেভাবে কিয়েভে পৌঁছান বাইডেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধকালীন কিয়েভে সোমবার সকালে আকস্মিক সফরে যান। ওয়াশিংটনের বাইরে একটি ছোট বিমানে চড়ে সামরিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর গভীর রাতে তিনি সফর শুরু করেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্টরা সাধারণত আন্তর্জাতিক ভ্রমণে ছোট বিমান ব্যবহার করেন। বাইডেন সাধারণত যেখান থেকে চড়েন সেখান থেকে বেশ দূরে অবতরণ করা হয়েছিল বিমানটিকে। প্রতিটি জানালার ছায়া নীচের দিকে টানা হয়েছিল।

১৫ মিনিট পর বাইডেন, মুষ্টিমেয় কিছু নিরাপত্তা কর্মী, একটি ছোট মেডিকেল টিম, ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা এবং গোপনীয়তার শপথ নেওয়া দুই সাংবাদিকসহ যুদ্ধ অঞ্চলের পথে রওনা হন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট সম্ভবত গ্রহের সবচেয়ে ক্রমাগত যাচাই-বাছাই করা ব্যক্তি। সংবাদকর্মীরা বাইডেনকে অনুসরণ করেন। তিনি যেখানেই যান, চার্চ বা আন্তর্জাতিক শীর্ষ সম্মেলনে; তিনি জনসমক্ষে যা বলেন-তার প্রতিটি শব্দ রেকর্ড, প্রতিলিপি এবং প্রকাশিত হয়।

বাইডেনের সফরসঙ্গী ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদক সাবরিনা সিদ্দিকি জানান, রাত ২টা ১৫ মিনিটের মধ্যেই তিনি ও অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) আলোকচিত্রী ইভান ভুচি বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন। এরপর তাদের মুঠোফোন নিয়ে নেওয়া হয়।পরে তারা সেগুলো ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় পর কিয়েভে পৌঁছে ফেরত পান।

তারা জ্বালানি নেওয়ার জন্য প্রায় সাত ঘণ্টা পর ওয়াশিংটন থেকে জার্মানির রামস্টেইনে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে অবতরণ করেছিলেন। এখানেও জানালার শেড নিচে নামানো ছিল এবং তারা প্লেন ছাড়েনি।

পরবর্তী ফ্লাইটটি পোল্যান্ডের জেসেয়ভ-জয়সঙ্কা বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এটি একটি পোলিশ বিমানবন্দর হতে পারে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে এটি ইউক্রেনীয়দের অস্ত্র দেওয়ার জন্য মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের ব্যবহারের জন্য একটি আন্তর্জাতিক কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও গোলাবারুদ এ বিমানবন্দর দিয়ে ইউক্রেনে প্রবেশ করছে।

এআর-০৩/২১/০২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)