জিয়াউর রহমান অনুপ্রবেশকারী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন : মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান অনুপ্রবেশকারী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

‘খুনি মোশতাক জিয়ার অবৈধ সরকারের কুখ্যাত ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স : পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন কালো আইন’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। এতে প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ।

মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আত্মস্বীকৃত খুনিদের নিরাপদে বিদেশে যেতে সহযোগিতা করেছেন। উচ্চপদে পদায়ন করেছেন দূতাবাসে। এমনকি যে যেই পদের যোগ্য না তাকে এক পদ উপরে বসিয়েছেন। তাহলে তাদের সম্পৃক্ততা আছে কি না বোঝা যায়। জিয়াউর রহমান মন্ত্রিসভায় কোনো মুক্তিযুদ্ধের লোককে স্থান দেননি। দেশের কুখ্যাত লোকদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন। তাহলে কী বোঝা যায়, তিনি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন সেক্টর কমান্ডার হয়েও। এখানে আসল রহস্য হলো তিনি পাকিস্তানের একজন গোয়েন্দা ছিলেন। অনুপ্রবেশকারী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন।

তিনি বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানকে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। ধর্মনিরপেক্ষতা, বাঙালি জাতীয়তাবাদকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। জয়বাংলা স্লোগান বাদ দিয়ে পাকিস্তানি কায়দায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ স্লোগান দেওয়া হলো। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়।

সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল হক সরকার, মঞ্চের উপদেষ্টা রুহুল আমিন মজুমদার ও জহির উদ্দীন জালাল।

এআর-০৬/৩০/০৩ (ন্যাশনাল ডেস্ক)