প্রতিবেদন নয়, শিশু নির্যাতনের জন্য শামসুজ্জামান গ্রেপ্তার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে প্রতিবেদনের জন্য নয়, ‘শিশু নির্যাতন’ ও ‘শিশুকে নিজের স্বার্থে ব্যবহারের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে বলেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শনিবার তারা এই বিবৃতিটি দেয়।

এতে বলা হয়েছে, সাংবাদিক শামসুজ্জামানের গ্রেপ্তার নিয়ে কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও প্রতিষ্ঠান দাবি করেছে, ‘বাংলাদেশে জীবনযাপনের ব্যয়’ নিয়ে প্রতিবেদন করায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যা ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট’।

স্বাধীনতা দিবসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের জেরে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা এবং একই মামলায় প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বৃহস্পতিবার শামসকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত বুধবার ভোর ৪টায় সাভারের বাসা থেকে শামসকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি দল তুলে নিয়ে যায়। বুধবার দুপুরে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানাতেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়।

বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকে বৈশ্বিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের খরচ বেড়েছে। এ নিয়ে অনেক গণমাধ্যমই ক্রমাগত প্রতিবেদন করে যাচ্ছে। তবে এ ধরনের প্রতিবেদনের জন্য কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।’

‘ওই সাংবাদিককে (শামসুজ্জামান) শিশু নির্যাতন ও শিশুকে নিজের স্বার্থসিদ্ধির কাজে ব্যবহার করার কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি ৯ বছর বয়সী এক শিশুকে ১০ টাকা দিয়েছিলেন এবং ওই শিশুর নাম দিয়ে নিজের কথাগুলো লিখেছেন…

‘দ্বিতীয়ত, তিনি মহান স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করেছেন। এসব কর্মকাণ্ড নিশ্চিতভাবেই শাস্তিমূলক অপরাধ।

‘বাংলাদেশ সরকার সব নাগরিক ও গণমাধ্যমের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। তবে এ ধরনের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড সৎ সাংবাদিকতার চেতনাবিরোধী।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ (সিআরসি) সমর্থনকারী হিসেবে বাংলাদেশ সরকার এ ধরনের শিশু নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ড সহ্য করবে না।’

প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান, প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস এবং একজন সহযোগী ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাতনামা আরও অন্যদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে তাদের বিরুদ্ধে প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এআর-০৮/০১/০৪ (ন্যাশনাল ডেস্ক)