যুক্তরাষ্ট্র–যুক্তরাজ্যসহ ৬ দেশের রাষ্ট্রদূতেরা আর বাড়তি নিরাপত্তা পাবেন না

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারতসহ ছয় দেশের মিশন প্রধানরা চলাচলের ক্ষেত্রে বাড়তি যে নিরাপত্তা সুবিধা (পুলিশ এসকর্ট) এতদিন পেয়ে আসছিলেন, তা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

অর্থাৎ, বাংলাদেশে অন্য সব দেশের মিশন প্রধানরা যে নিরাপত্তা সুবিধা পান, এখন থেকে ওই ছয় দেশের ক্ষেত্রেও সেটাই প্রযোজ্য হবে।

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ‘ভালো থাকার কারণে’ এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সোমবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের বলেছি, অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে আমাদের নানা কৃচ্ছ্রসাধন করতে হচ্ছে। তাই রাষ্ট্রদূতদের যে বাড়তি নিরাপত্তা সুবিধা দেওয়া হয়, সেটি আর অব্যাহত রাখা সম্ভব হচ্ছে না।’

বিশেষ পরিস্থিতিতে ছয় দেশের রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি নিরাপত্তা সুবিধা দেওয়া হয়েছিল বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কিন্তু এখন পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালো। তাই কূটনীতিকদের বাড়তি নিরাপত্তা সুবিধা দিলে বিদেশিদের কাছে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা নিয়ে ভুল বার্তা যায়। আমরা ভুল বার্তা দিতে চাই না।’

এ ছাড়া ছয় দেশকে বিশেষ নিরাপত্তা সুবিধা দেওয়ায় অন্যান্য দেশও তা চাইছিল বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সে কারণে আমরা দেখলাম, এভাবে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া অব্যাহত রাখা সম্ভব নয়। তা ছাড়া বিভিন্ন দেশে আমাদের কূটনীতিকদেরও বাড়তি কোনো নিরাপত্তা সুবিধা দেওয়া হয় না।’

এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রাতে এ বিষয়ে একটি বার্তা দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘আজ সন্ধ্যায় (টেলিফোনে) জনৈক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সরকারি খরচে (জনগণের ট্যাক্সের টাকায়) বিদেশি কোনো রাষ্ট্রদূতকে বাড়তি নিরাপত্তা (এসকর্ট) দেওয়া হবে না। কারণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আমাদের দেশে অনেক ভালো আছে। তা ছাড়া কোনো দেশেই বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্রদূতকে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হয় না। তবে বিদেশি কূটনীতিকেরা তাঁদের খরচে এসকর্ট হায়ার করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে টাকা দিয়ে আনসার ব্যাটালিয়নের এসকর্ট নিতে পারবেন।’

এআর-০৫/১৫/০৫ (ন্যাশনাল ডেস্ক)