শেখ হাসিনাকে হত্যার মিশনে নেমেছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

শেখ হাসিনাকে হত্যার এক দফা মিশনে বিএনপি মাঠে নেমেছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে এসব কথা বলেন কাদের।

কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তাই আজকে তাঁর একমাত্র শত্রু। সে জন্যই বিএনপি ১৪ বছর পরে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। কিন্তু জনগণের সাড়া না পেয়ে তারা এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনপ্রিয়তার শীর্ষে যে নেত্রী তাঁকে স্তব্ধ করে দিতে হবে, এই ষড়যন্ত্র নিয়ে তারা আজকে মাঠে নেমেছে।

রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘হত্যার হুমকি’ দিয়েছেন দাবি করে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার দুপুর থেকেই ঢাকা দক্ষিণের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড় হয়। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মিছিলপূর্ব সমাবেশ শুরু হয়। কিন্তু মুষলধারে বৃষ্টি নামার কারণে মিছিল সম্ভব হয়নি।

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়ায় সারা দেশে গর্জন উঠেছে বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের।

ঘটনার চার দিন অতিবাহিত হলেও আবু সাঈদ চাঁদের বিরুদ্ধে বিএনপি কোনো কিছু না বলায় প্রশ্ন তোলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘সবাই নীরব হয়ে আছেন, তাই আজকে প্রশ্ন জাগে, এটা তাঁর (চাঁদ) এক দফা নয়, এটা বিএনপির এক দফা।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ফখরুল সাহেব, আমাদের পার্টির কোনো জেলার নেতা যদি খালেদা জিয়াকে হত্যা করার হুমকি দিত, তাহলে আপনারা কী করতেন? কী জবাব দিতেন, আমি জানতে চাই। বিএনপির উপলব্ধি করা উচিত, রাজশাহীর এক নেতা হুমকি দেওয়ায় সারা দেশ গর্জন করে উঠেছে। শেখ হাসিনার ওপর হামলা করলে আওয়ামী লীগ কর্মীরা চুপ করে বসে থাকবে না।’

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। তারা নির্বাচন চায় না। তারা চায় সংঘাত, অস্থিরতা, অশান্তি, রক্তপাত। আমরা চাই নির্বাচন, বাংলাদেশের জনকণ্ঠকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে। আমরা নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই।’

আওয়ামী লীগ কারও সঙ্গে সংঘাতে যাবে না উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব এই অপশক্তিকে। এই অপশক্তিকে বাংলার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে হবে। আমরা ভুল থেকে শিক্ষা নেব—এই আশ্বাস জনগণকে দিতে হবে।’ তবে হামলা চালালে দলটি সমুচিত জবাব দেবে বলে জানান কাদের।

বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক বলছি, দুই দিন পর সিটি করপোরেশন নির্বাচন, এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে। এই নির্বাচনে সরকারি দল নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। গাজীপুর সিটি নির্বাচনসহ সকল সিটি নির্বাচন এবং আগামীতে জাতীয় নির্বাচন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হবে। আমরা বিদেশিদের অনুরোধ করব, আপনারা আসুন এবং দেখুন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কীভাবে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন হবে।’

এআর-১০/২৩/০৫ (ন্যাশনাল ডেস্ক)