সরকারের লাফালাফি কমে এসেছে : মির্জা ফখরুল

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের লাফালাফি কমে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “কত লাফালাফি করেছে। এই তো ক’দিন আগেই তাদের কত দম্ভ। এখন কিন্তু লাফালাফি কমে এসেছে। এখন বলছে ‘আমরা সংঘাত চাই না। আলোচনা চাই’। অথচ সেদিনও আমাদের সিনিয়র নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমানের গাড়ি ভেঙেছে, নিপুণের মাথা ফাটিয়েছে। নরসিংদীতে খোকন-শিরিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।

সোমবার বিকেলে রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে বর্তমান আওয়ামী লীগ আবারও ভিন্ন আঙ্গিকে একদলীয় বাকশাল করতে চায়। তারা আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করেছে। কিন্তু আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার। আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা লড়াই করছি। তার নেতৃত্বে আমরা নতুন স্বপ্ন দেখি। যেখানে ন্যায়-সমতার ভিত্তিতে হবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। এখন নাকি আমেরিকা থেকে রেমিট্যান্স আসছে। আসলে চোরেরা চুরি করে যত পাচার করেছে সেগুলো ফেরত আনছে। কারণ আড়াই শতাংশ ইনসেনটিভ পাবে সে জন্য।

তিনি বলেন, আমাদের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং হবে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করব। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা ক্ষমতার পরিবর্তন চাই।

জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের অন্যতম একজন জিয়াউর রহমান। তার জানাজায় ২০-২৫ লাখ মানুষ শরিক হয়েছিলেন। তারা সবাই সেদিন ডুকরে কেঁদেছিলেন। কারণ জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বাংলাদেশ অনিরাপদ হয়ে পড়ে। সে সময় বিখ্যাত টাইম পত্রিকার সাংবাদিক লিখেছিলেন- ‘রিক্শাওয়ালা রিক্শার পেছনে জিয়াউর রহমানের ছবি লাগিয়েছিলেন। সব কাজ বন্ধ হয়ে গেছিল। কৃষকরা কৃষিকাজ বন্ধ করেছিলেন।’ কারণ এত ভালো মানুষ আর তারা পাবেন না। এটাই হচ্ছে জিয়াউর রহমান। আজকে তাকে খাটো করা হচ্ছে। তাকে খলনায়ক বানানোর চেষ্টা হচ্ছে। যত ষড়যন্ত্রই করুক, চিৎকার করুক আর লিখতে থাকুক তাকে ইতিহাস থেকে মুছে দেওয়া যাবে না। এটা ধ্রুবতারার মতো সত্য যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান আবারও ১৯৭৫ সালের নভেম্বরে সেনানিবাসে বিদ্রোহ দমন করেছিলেন। তিনি দেশের সবচেয়ে কঠিন সময়ে জাতির হাল ধরেছেন। ১৯৭৫ সালে দেশের একদলীয় শাসনের হাত থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করেছিলেন। সুতরাং তার সম্পর্কে যা খুশি বলা হোক না কেন তাকে মানুষের হৃদয় থেকে মুছে দেওয়া যাবে না।

এআর-০৬/২৯/০৫ (ন্যাশনাল ডেস্ক)