অস্ত্রোপচার বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরলেন রাজশাহীর ক্লিনিক মালিকরা

অস্ত্রোপচার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন রাজশাহীর বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিকরা। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) নেতাদের হস্তক্ষেপে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে মহানগরীর সব ক্লিনিকে আবারও অস্ত্রোপচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসকদের ফি দ্বিগুণ করার প্রতিবাদে রাজশাহীর বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলো বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সব ধরনের অস্ত্রোপচার বন্ধ রেখেছিল। বুধবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করে এই ধর্মঘটে যান মহানগরীর বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিকরা।

তাদের অভিযোগ, সম্প্রতি অ্যানেস্থেসিয়ার চিকিৎসকরা দ্বিগুণেরও বেশি ফি দাবি করছেন। একটি সিজার অপারেশনে রোগীকে অজ্ঞান করতে যেখানে এক থেকে দেড় হাজার টাকা ফি দেওয়া হতো, সেখানে এখন ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা দাবি করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যানেস্থেসিয়ার পক্ষ থেকে এ ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এতে অস্ত্রোপচার কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত অস্ত্রোপচার কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়।

বিএমএ রাজশাহী শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. নওশাদ আলী বলেন, আমরা দু’পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেছি। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, অ্যানেস্থেসিয়ার চিকিৎসকদের ফি ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হবে। দু’পক্ষ এ সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ায় আবারও অস্ত্রোপচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বৈঠকে বিএমএ সভাপতি ডা. এবি সিদ্দিকীসহ জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

রাজশাহীর বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোখলেসুর রহমান জানান, তারা বিএমএ নেতাদের সমঝোতার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। হাসপাতালে অস্ত্রোপচার চালু হয়েছে।

এআর-০৫/২১/০৯ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)